এসএমএস করার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখবেন
প্রকাশিত : ১৬:০৯, ২৫ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৮:২৪, ২৬ মে ২০১৭
দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে আমরা সবাই কম বেশি এসএমএস করে থাকি। টেক্সট করি আপনি আমি সবাই। সময় বাঁচাতে বা বেকায়দায় পরে কল দেওয়া সম্ভব না হলে তখ দ্রুত একটা টেক্সট পাঠিয়ে দেওয়াটাতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকি অনেকেই। কিন্তু এই টেক্সট লিখতে গিয়ে অনেকেই কিছু বদ অভ্যাস তৈরি করে ফেলেন যা অন্যদের বিরক্তির কারণ তো বটেই, আপনার নিজেরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এসএমএসে অতিরিক্ত LOLএর ব্যবহার:
এসএমএস লেখার ক্ষেত্রেই অনেকেই এ কাজটা প্রচুর পরিমাণে করে থাকেন। টেক্সটের শুরু এবং শেষে অযথাই LOL জুড়ে দেন।হাসির কোনো কারণ নেই, বরং বেশ সিরিয়াস কোন আলোচনা চলছে এর পরেও তারা ক্রমাগত LOL ব্যবহার করেন। ব্যাপারটা মোটেও আকর্ষণীয় নয়, বরং অন্যদের কাছে আপনার ব্যক্তিত্ব কমিয়ে দেয়।
অযথাই ছোট ছোট করে লেখা
টেক্সট করার সময়ে অনেকেই সংক্ষেপে লেখেন। “ওকে” লেখার পরিবর্তে লেখেন “K”, প্রতিটা শব্দকে সংক্ষেপ করতে করতে এমন দুর্বোধ্য ভাষা তৈরি করে ফেলেন যে তার মর্মার্থ আর খুঁজে বের করা যায় না। এমন ছোট করে না লিখে অন্তত অন্যরা বুঝতে পারে এমনভাবে লিখুন।
ইমোটিকনের অতিরিক্ত ব্যবহার
মূলত ফেসবুক অথবা মেসেঞ্জারে অনুভূতি বোঝাতে স্মাইলি এবং এমন বিভিন্ন ধরণের ইমোটিকন বা ইমোজি ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রসিকতা করার সময়ে দু-একটা ইমোটিকন মজা লাগে বটে। কিন্তু আপনি যখন অতিরিক্ত ইমোটিকন ব্যবহার করবেন, একই ইমোটিকন বারবার দেবেন, অথবা কথার বদলে ইমোটিকন ব্যবহার করবেন সর্বত্র, তা নিতান্তই বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়াবে।
টেক্সটের উত্তর না দেওয়া
ফেসবুকে মেসেজ দেখলেন অর্থাৎ “seen” হলো। এরপর সেই মেসেজের উত্তর না দিলে তিনি বুঝে যাবেন যে আপনি ইচ্ছে করেই তাকে ইগনোর করছেন। ভাবছেন ফোনে টেক্সট করলে এমনটা হবে না? হবে। আপনি দিনের পর দিন কারও টেক্সটের উত্তর না দিলে তিনি বুঝে যাবেন যে আপনি ইচ্ছে করে তাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। এভাবে কাউকে কষ্ট দিয়ে লাভ কী বলুন? ছোট হলেও একটা রিপ্লাই দিতে ভুলবেন না। কয়েকটা শব্দের টেক্সট করতে পারবেন না, এতটা ব্যস্ত আপনি নন নিশ্চয়ই।