এসএসসিতে পাসের হার ৭৭.৭৭, জিপিএ-৫ এক লাখ ১০ হাজার
প্রকাশিত : ১১:০০, ৬ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৬:০১, ৬ মে ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবার এসএসসিতে পাসের হার ৭৭. ৭৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬১৯ জন।
গতবারের তুলনায় এবার পাশের হার কমেছে, বেড়েছে জিপিএ-৫। গত বছর এ পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। সেই হিসাবে এবার মাধ্যমিকে পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ পয়েন্ট। এ ছাড়া জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ৮৬৮ জন।
রোববার সকালে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরা তার সঙ্গে ছিলেন। এরপর দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবেন তিনি। দুপুর ২টার পর থেকে পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্কুল থেকে ফল জানতে পারবেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে হাসের হার ৭৯.৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৮৪৫জন। মাদ্রাসায় পাসের হার ৭০.৮৯, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৩৭১ জন। কারিগরিতে পাসের হার ৭১.৯৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪১৩ জন। এসএসসিতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো ফল করেছে। মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ২.১৪ শতাংশ বেশি পাস করেছে।
গত ১-২৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি’র তত্ত্বীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত। এবার দেশের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। তবে প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এবারের এসএসসি পরীক্ষাকে ঘিরে। গত ৩ মে প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, এসএসসি পরীক্ষা বাতিল হবে না, প্রশ্নফাঁসের সুবিধাভোগী মাত্র ০.২৫ শতাংশ। সেদিনের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নৈর্ব্যত্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টি বিষয়ের শুধু ‘খ’ সেটের। আর তা হয়েছে পরীক্ষার ২০ মিনিট সময় আগে। এতে ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ হাজার পরীক্ষার্থী সুবিধাভোগী। এরমধ্যে অনেকেই আটক ও বহিষ্কার হয়েছে এবং ব্যবস্থার আওতায় রয়েছে। তাই কোনও পরীক্ষা বাতিল করার প্রয়োজন নেই।
এ সংক্রান্ত আরও খবর
/ এআর /
আরও পড়ুন