এসডিজি বাস্তবায়নে দরকার যৌথ সহযোগিতা
প্রকাশিত : ১৬:৫৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এসডিজি বাস্তবায়ণসহ দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যৌথ সহযোগিতার উপর জোর দেন তারা।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘বাংলাদেশে উন্নয়ন ফোরাম-২০১৮’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে দেশের অর্থনীতিবিদ ও সহযোগী সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এমন মত দিয়েছেন। গত ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩:৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল-মাল আবদুল মুহিত।
এর আগে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেমিনারের উদ্বোধন করেন। বিডিএফর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো‘উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব’ (পার্টনারশীপ ফর ডেভেপলমেন্ট)। দেশের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং এসডিজি অর্জনের উপায়সমূহ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ৭ম পঞ্চবার্ষিক (৭ এফওয়াইপি) পর্যালোচনাই হয় এবারের মূল বিষয়। ফোরামে ২০৩০ সালের মধ্যে সফলভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের অতিরিক্ত ৯২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাপ্তির বিষয়টিও আলোচিত হয়।
আলোচ্য সম্মেলনে কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈদেশিক বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, মান সম্মত শিক্ষা, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ, নারীর ক্ষমতায়ণ নিশ্চিতকরণ, নাগরিক সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্য সরকার ও উন্নয়ন সহযোগিরা একত্রে কাজ করতে সম্মত হন। তবে ফোরামের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, ‘সপ্তম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নঃ প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়।’
এদিকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করায় বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা যায়, সে বিষয়ে দেশের অর্থনীতিবিদরা নানান পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে জিএসপি সুবিধাসহ পোষাক ও চামড়াখাতে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করেছেন। এদিকে সে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় তারা নানান পরামর্শ দিয়েছেন।
সমাপণী অনুষ্ঠান শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, স্কলারদের কাছ থেকে আসা প্রস্তাবণাগুলো বাস্তবায়ণে সরকার কাজ করবে। এছাড়া উন্নয়ণের অংশীদারগোষ্ঠীগুলোও এ পরামর্শগুলো নিয়ে কাজ করবে বলেও যোগ করেন তারা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলেপমেন্ট এর মহাপরিচালক সুলেইমান জাসির-আল-হারবিশ, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণি এশিয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট এনেট ডিক্সন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েন চাই ঝ্যাং, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মহাপরিচালক মিনুর মাসুজিমা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।
এমজে/
আরও পড়ুন