জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
ওয়াজেদ মিয়া ও তার স্বপ্নের রূপপুর
প্রকাশিত : ০৯:৪৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
রূপপুর এখন স্বপ্ন পেরিয়ে বাস্তবে। আজ বাস্তবায়নের পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। বলা যায়, এটি অনেক বড় এক স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন। ১৯৯৭ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পুনঃবাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া।
বাংলাদেশে প্রথম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের এ কাজটুকুর জন্যই তিনি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম স্মরণীয় থাকবেন। অনেক বছর আগে হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা করাটাই যেখানে অকল্পনীয় ছিল, সেখানে তার সাহসে ভর করে পারমাণবিক বিদ্যুতের কাজটা পুনরায় শুরু করা সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তা অবিস্মরণীয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি এ মহান বিজ্ঞানীর ৭৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪২ সালের এইদিনে রংপুরের পীরগঞ্জের নিভৃত গ্রাম ফতেপুরে তার জন্ম। ডাক নাম সুধা মিয়া। যার অপরিসীম জ্ঞান ও আন্তরিকতায় আলোকিত হয়েছে দেশ। যিনি পরমাণু বিজ্ঞানকে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়াকে ব্যক্তিগতভাবে যারা চিনতেন, কাছ থেকে দেখেছেন তারা জানেন তিনি কতখানি সৎ ও নির্লোভ মানুষ। ক্ষমতার খুব কাছে থেকেও মোহগ্রস্ত হননি। তার মতো মানুষের মূল্যায়ন করার মতো কোনো মাপকাঠি আমার জানা নেই।
ওয়াজেদ মিয়া আদর্শের জন্য প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সহকর্মীদেরও উদ্বুদ্ধ করেছেন সৎ ও ন্যায়-নিষ্ঠাবান হওয়ার জন্য। তিনি নিজে ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও কোনো সুযোগ-সুবিধা নেননি। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। সর্বদা নিজস্ব বলয়ে থেকে নিজের যোগ্যতায় নিজ কর্মক্ষেত্রের পরিধিতে স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে কর্মজীবন শেষ করেছেন।
রাজনৈতিক বলয়ে থেকেও বিজ্ঞানী হিসেবে নিজের গবেষণা নিয়ে আলাদা জগৎ তৈরি করেছিলেন তিনি। বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ ধাপ পরমাণু নিয়ে স্বপ্ন দেখার মতো কাজটি তিনি করে গেছেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য এমন একজন বিজ্ঞানী অপরিহার্য ছিল। বাংলাদেশের আণবিক পাওয়ার প্ল্যান্টের এই স্বপ্নদ্রষ্টা আজ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার।
ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া পাণ্ডিত্য ও প্রতিভার দ্বারা নিজস্ব একটি পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। দল-মত নির্বিশেষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে এ মহান মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে তার সাদামাটা যাপিত জীবনের অনেক কিছুই বেরিয়ে এসেছে।
এ মহান ব্যক্তিত্বের যথাযথ মূল্যায়ন করা জাতির নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। তিনি আমাদের গর্বের পরমাণুবিজ্ঞানী। তার বিজ্ঞান সাধনার উৎকর্ষের জন্য তিনি যুগের পর যুগ বাংলাদেশের ইতিহাসে নক্ষত্র হয়ে জ্বলবেন। মেধাবী সন্তানরা দেশের সম্পদ। একটি দেশ এগিয়ে যাওয়ার মূলশক্তিই হচ্ছেন এ মেধাবীরা।
তিনি শুধু একজন মেধাবী ছাত্র বা পরমাণুবিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিভৃতচারী, নীতিবান, নিরহংকার, নির্ভীক, স্পষ্টবাদী, দৃঢ়চেতা, দেশপ্রেমিক, আদর্শবান, সৎ, সহজ-সরল, বিনয়ী, চরিত্রবান, যুক্তিবাদী, অজাতশত্রু ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন আদর্শ মানুষ। একজন মানুষের মধ্যে এত গুণ- সত্যিই বিরল দৃষ্টান্ত।
রংপুরের পিছিয়ে পড়া এক গ্রাম থেকে উঠে এসেছিলেন তিনি। নিজেকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন কেবল শিক্ষার মাধ্যমে। পীরগঞ্জের সাদাসিধে ছেলেটিই বড় হয়ে দেশের অন্যতম একজন আণবিক বিজ্ঞানী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিলেন। আরও অবাক করা ব্যাপার বড় হয়ে হল তিনি জাতির জনকের জামাতা। সবই হল তার লেখাপড়ার গুণে, মেধার গুণে।
সত্যভাষী এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় অনন্য এ মানুষটিকে কন্যা শেখ হাসিনার স্বামী হিসেবে পছন্দ করেন বঙ্গবন্ধু। সহধর্মিণী আজ দেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় স্বল্পোন্নত একটি দেশে আইটিকে ঈর্ষণীয় স্তরে নিয়ে গেছেন এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই স্বপরিচয়ে বিশ্বখ্যাত।
লেখায়ও ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন প্রেরণা সৃষ্টিকারী। সাতটি পাঠ্যবই লিখেছিলেন তিনি। বিজ্ঞানের জ্ঞাননির্ভর একটি ভবিষ্যৎ সমাজ গড়া তার লক্ষ্য ছিল। পাঠ্যবই হিসেবে এগুলো যেমন বিশদ, তেমনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তত্ত্ব ও জ্ঞানের উপাদানে সমৃদ্ধ।
ওয়াজেদ মিয়ার ধরনটাই ছিল এ রকম- তিনি যেন ক্লান্তিহীন, বিজ্ঞানকে সামাজিক উন্নয়নে আরও অর্থবহ করে তোলার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেয়ার নতুন নতুন সুযোগের সন্ধানে মত্ত। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ ছিল তার কাজের শেষদিন।
কর্মস্থলের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সে দিনটিতেও তার কর্মোদ্যম একটুও স্তিমিত ছিল না। তার একটা বক্তব্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, ‘একটা উন্নয়নশীল দেশে, যেখানে সম্পদ অপ্রতুল সেখানে একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই জাতির জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে পারে।’
হয়তো আমরা অনেকেই জানি না কতটা মেধাবী ছিলেন এই বিজ্ঞানী। তার বিজ্ঞানচর্চার পরিধি কতটা সুউচ্চ ছিল, তা আমাদের অনেকেরই অজানা। রংপুরের গ্রামে জন্ম নেয়া এ বিজ্ঞানসাধক ছাত্রজীবনেও তুখোড় মেধাবী ছিলেন। মেধার কারণে তিনি একের পর এক সাফল্যের সঙ্গে সব শিক্ষা বৈতরণী পার হন; যা সমসাময়িক সহপাঠীদের কাছে তার আলাদা পরিচয় তৈরি করে দেয়।
রংপুরের পিছিয়ে পড়া জন্মগ্রাম ফতেপুরেই বেড়ে ওঠেন তিনি। মেধাবী হিসেবে ছোটবেলায়ই শিক্ষকদের দৃষ্টি কাড়েন। ১৯৫৬ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। সে বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ছিলেন ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র।
সেসময়ই ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা; ফজলুল হক মুসলিম হলের ভিপিও নির্বাচিত হন তিনি ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরে। তখনই বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন ওয়াজেদ মিয়া। ১৯৬১ সালে স্নাতক, ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৬৩ সালের ৯ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দেন।
১৯৬৯ সালে ইতালির ট্রিয়েস্টের আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র তাকে অ্যাসোসিয়েটশিপ প্রদান করে। এ সুবাদে তিনি ১৯৬৯-৭৩ ও ১৯৮৩ সালে ওই গবেষণা কেন্দ্রে প্রতিবার ৬ মাস ধরে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।
১৯৬৯ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের ড্যারেসবেরি নিউক্লিয়ার ল্যাবরেটরিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কার্লসরুয়ে শহরের ‘আণবিক গবেষণা কেন্দ্রে’ আণবিক রিঅ্যাক্টর বিজ্ঞানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লির ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।
তার যোগ্যতার মাপকাঠি ছিল প্রশ্নাতীত। ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে তিনি পরপর দুবার বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তিনি পরপর তিনবার ওই বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চার বছর তিনি বাংলাদেশ পদার্থবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ সালে দুই বছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। আর এসব পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন শুধু তার যোগ্যতার নিরিখেই।
১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুবার বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি পরপর দুবার দুই বছর মেয়াদকালের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯১-১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘেরও সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর তিনবার তিনি ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি’র সভাপতি নির্বাচিত হন।
নিজের পাণ্ডিত্য ও প্রতিভার যে পরিচয় তিনি গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন তা এককথায় অনন্য গৌরবের। এ জন্যই অন্য পরিচয়গুলো তার জন্য অলংকার। যেসব কথা তিনি প্রচার করতে চাননি, তার প্রয়োজনও বোধ করেননি। মৃত্যুর আগে ওয়াজেদ মিয়া সম্পর্কে দেশবাসী যতটা জানতেন, মৃত্যুর পর জেনেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি। ২০০৯ সালের ৯ মে এ স্বাপ্নিক বিজ্ঞানীর জীবনাবসান ঘটে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আজ বাস্তবায়নের পথে। ২০১৩ সালের অক্টোবরে এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পূরণ হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। সফল হবে বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার আমরণ প্রচেষ্টা এবং সুফল ভোগ করবে সারা দেশের মানুষ।’
যথার্থই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর পারমাণবিক ক্লাবের ৩২তম সদস্য দেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে ষষ্ঠ এবং সার্কের তৃতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দেশ।
ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার বিশ্বাস ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি স্তর ও ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শেকড় গ্রথিত হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সুদৃঢ় হবে, গণতন্ত্রচর্চা, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় থাকবে অনুকূল পরিবেশ।
তিনি বিশ্বাস করতেন, মতাদর্শগত পার্থক্য নির্বিশেষে সহাবস্থানের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি সবার মধ্যে জাগ্রত হবে। তার জীবনদর্শন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষা ও কুসংস্কারের নিগড় থেকে জাতিকে মুক্ত করা। দেশের প্রতিটি শহর-বন্দর-গঞ্জ, প্রত্যন্ত গ্রাম ও পাড়াগাঁয়ের জনসাধারণের জন্য আধুনিক শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা, প্রতিটি নাগরিকের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় নিশ্চয়তা বিধান করা, জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টনের নিশ্চয়তা বিধান করা ছিল তার মৌলিক ধ্যান-ধারণা।
‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের পর দ্বিতীয় ইউনিটে পারমাণবিক চুল্লি বসানোর কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে।
২০০৯ সালে যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩২০০ মেগাওয়াট; এখন তা ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি চুল্লি স্থাপন হচ্ছে রূপপুরে। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদন শুরু হলে নিঃসন্দেহে দেশে উন্নয়নের আরেকটি বিপ্লবের সূচনা হবে। আবার নতুন করে আমাদের সামনে চলে আসবে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কৃতিত্ব ও সাফল্যগাথা।
প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ : শিক্ষাবিদ ও রাজনীতি বিশ্লেষক
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।