ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ঔষধি গুণের ধান চাষ করে শার্শার কৃষকের চমক

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:০৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১২:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

ঔষধি গুণসম্পন্ন ধান চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন যশোরের শার্শার ধান চাষী জিয়াউর রহমান। ইন্টারনেটে দেখে সুদূর বগুড়া ও ফেনী থেকে ধানবীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করেন তিনি। ঔষধি গুণসম্পন্ন এই ধানগাছ দেখতে দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন অসংখ্য মানুষ।

কৌতূহল জাগানো এই কালো প্রজাতির ধানের বিষয়ে মানুষের জানার শেষ নেই। আগ্রহ সহকারে ধান ক্ষেতের ছবি তুলে ফিরছেন অনেকেই।

কৃষি বিভাগ ও মাঠে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলা সদরের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বাহাদুরপুর ইউনিয়নের নটাদিঘা গ্রামের মাঠে ঔষধি গুণসম্পন্ন এ কালো ধান চাষ শুরু করেন। তিনি বগুড়া ও ফেনী থেকে ভিয়েতনামের বেগুনী রাইচ, বøাক রাইচ ও চায়না বøাক রাইচ নামক এ ধানবীজ সংগ্রহ করে ৩ বিঘা জমিতে চাষ করেন।

ঔষধি গুণ এবং এই ধান চাষে খরচও কম, ফলন বেশি হওয়ার কথা জানতে পেরে অগ্রিম ধানবীজ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে এন্টি অক্সিডেন্ট পুষ্টি সমৃদ্ধ ধান। কালো চালের ভাত সাধারণ ভাতের অর্ধেক খেলে পেট ভরে যাবে। ফাইবার বেশি থাকায় তা সময় নিয়ে হজম হবে। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। 

এই ধানটা আমন ও বোরো দুই মৌসুমে চাষ করা যায়। বেগুনী রাইস বিঘা প্রতি ২০-২২ মণ ও কালো রাইস ২৪-২৫ মণ ধান পাওয়া যায়। 

ধান চাষী জিয়াউর রহমান জানান, সুদূর বগুড়া ও ফেনী থেকে ঔষধি গুণসম্পন্ন এসব ধানবীজ সংগ্রহ করে প্রথম ৩ বিঘা জমিতে চাষ করি। আর এতেই মানুষের মাঝে কৌতূহলের উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। কালো প্রজাতির এই ভিন্ন ধরনের ধানগাছ দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এ ধানবীজ অগ্রিম কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। 

অনেকের অনুরোধে ও এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে এই ধান থেকে বীজধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। 

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, উপজেলায় এ ধানের চাষ এটাই প্রথম। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে এন্টি অক্সিডেন্ট পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান। কালো চালের ভাত সাধারণ ভাতের অর্ধেক খেলে পেট ভরে যাবে। ফাইবার বেশি থাকায় তা সময় নিয়ে হজম হবে। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। এ কালো ধানটি আমন ও বোরো দুই মৌসুমে চাষ করা যায়। 

এই ধানটি দেশে প্রথম আসে কুমিল্লার এক চাষীর মাধ্যমে। এ ধানটি আসলে ভাত হিসেবে খাওয়ার জন্য নয়। খিচুড়ি, পায়েশ ও ফিন্নি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক সৌখিন মানুষ এ চালটা খেয়ে থাকেন রোগ প্রতিরোধে। ঢাকার বিভিন্ন সুপার শপে এ চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

স্থানীয়ভাবে এটার চাল কালো হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে বেশি আগ্রহ দেখা যায় না। সরকারিভাবে এ সম্পর্কে যদি কোন ধারণা পাওয়া যায় তাহলে কৃষকদের এ ধান চাষে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি