কক্মবাজারে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালন
প্রকাশিত : ২১:১৩, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিশুশ্রম একটি উভয় সংকট। শিশুশ্রম কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ আবার শিশুশ্রম নিরসন করতে গেলে শিশুদের আয়ের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো বিপাকে পড়ে। তাই শিশুশ্রমিকদের পরিবারকে কীভাবে আয়মুখী করা যায়, তা নিয়ে বেসরকারি সংগঠনগুলোর ভাবার অবকাশ আছে বলে মনে করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে র্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে এ আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং কক্সবাজার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অদিধপ্তর। সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সংগঠন ইপসা৷
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ সামনে রেখে শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্মস্থলের নিরাপত্তায় বিনিয়োগ হলো মালিকের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ।
'সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ; গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ'- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে দিবসটি পালিত হয়েছে। র্যালী পরবর্তী কক্সবাজার জেলা সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দিবসটির উদ্দেশ্য ও মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কক্সবাজার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অদিধপ্তরের উপ মহাপরিদর্শক শাহ মোফাখ্খারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ।
আলোচনা সভায় এনজিও প্রতিনিধিদের পক্ষে ইপসা'র প্রোগ্রাম অফিসার আলী আদনান বলেন, শিশুশ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে ইপসা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে কক্সবাজারের নাজিরারটেক ও চৌফলদন্ডীতে শুঁটকি কারখানায় কর্মরত শিশুশ্রমিকদের পড়াশোনা, নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সেশনের মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়েও সচেতন করা হচ্ছে।
আলী আদনান আরও বলেন, শিশুশ্রম নিরসন করতে হলে সকলকেই সম্মিলতভাবে এগিয়ে আসতে হবে৷ এক্ষেত্রে প্রশাসন, মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ, গণমাধ্যম, সমাজের সচেতন নাগরিক- সবারই সম্মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইমরুল কায়েস, জেলা ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স অধিদপ্তরের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ জাহেদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শফিউল্লাহ আনসারী, স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতির প্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালিতে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শ্রমিক-মালিক-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এএইচ
আরও পড়ুন