কক্সবাজারবাসীর স্বপ্নপূরণের দিন আজ
প্রকাশিত : ০৯:১২, ১১ নভেম্বর ২০২৩
দেশের প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ বিশটি প্রকল্পের উদ্বোধনে কাল কক্সবাজারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলাজুড়ে সাজ সাজ রব। উৎসাহ-উদ্দীপনা সাধারণ মানুষের মাঝে। জনসভায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ লোকসমাগমে চমক দেখাতে চান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
কক্সবাজারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার রেলস্টেশন এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ বিশটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে অংশ নেবেন জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায়।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুন ও বিলবোর্ড-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, লাইটিং ও সৌন্দর্য বর্ধন চলছে সমানতালে। দলীয় সভাপতির দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও।
১০২ কিলোমিটারের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন চালুতে স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের।
দোহাজারী-কক্সবাজার ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১০ শুরু হয়ে ২০১৩ সালে শেষ হবার কথা ছিল। তবে, ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল একনেকে অনুমোদিত হয় এবং এ লাইনে ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালে সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়। এই বাজেটে এডিবি ঋণ দেয় ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা আর বাকি চার হাজার ৯১৯ কোটি সাত লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ঝিলংজায় ২৯ একর জমিতে দুইশ ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে চোখ ধাঁধানো রেলওয়ে স্টেশন। মূল স্থাপনাটি যেন সমুদ্রের ঝিনুকেরই বিমূর্ত রূপ। ছাদটি স্টিলের তৈরি ক্যানোপি, আর চতুর্পাশে রয়েছে কাঁচের দেয়াল। দিনের আলো সরাসরি প্রবেশ করবে স্টেশনের ভেতরে। অত্যাধুনিক নির্মাণশৈলী ও পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যও এতে দৃশ্যমান।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী আরও যে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন তাতে রয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত মাতারবাড়ি ১২শ' মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযুক্তি প্রকল্প। বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার সদরে খাল লাইনিং এপ্রোচ রোড ও ব্রিজ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৪টি প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪টি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প।
প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের পর জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা সফল করতে নানারকম প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে সর্বশেষ মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন সরকার প্রধান।
এএইচ
আরও পড়ুন