কক্সবাজারে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র বানানো সম্ভব
প্রকাশিত : ১৭:১১, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৭:১২, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরোয়ার কাবেরী। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা এই রাজনীতিবিদ কক্সবাজারের রাজনীতিতে একটি পরিচিত মুখ। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নসহ নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে একদিকে যেমন আলোচনায় এসেছেন, অন্যদিকে জীবনের শংকায়ও পড়েছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন একুশে টেলিভিশন অনলাইনের প্রতিবেদক আলী আদনান।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কী কী কাজ করেছে?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়মতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ওর্য়াড, ইউনিয়ন, উপজেলা সাংগঠনিকভাবে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফসল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি পালন করে আসছে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ বর্তমানে কক্সবাজারের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলো কী কী?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ বর্তমানে কক্সবাজারে বড় সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মাদক পাচার। যেহেতু সীমান্তর্বতী এলাকা সেজন্য সবাইকে দলমত নির্বিশেষে এর প্রতিকার করতে হবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ অনেকে বলছেন, রোহিঙ্গাদের এই বিশাল জনগোষ্ঠী জাতিগতভাবে দেশের জন্য বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে। আপনি কী মনে করছেন?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ রোহিঙ্গা ইস্যু কক্সবাজারবাসীর একার সমস্যা নয়। এটি পুরো দেশের সমস্যা। দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার এলাকায় রাজনৈতিক খুন, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন দুর্বৃত্তায়নের খবর প্রকাশিত হয়। স্থানীয় রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনি এটার জন্য কাকে দায়ি মনে করেন?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ এধরণের সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি রাজনৈতিক। একটি সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী মহল বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে এই পর্যটন নগরীকে খুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রশ্নবোধক করে তুলছে। যা অত্যন্ত দু:খজনক।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ পর্যটন এলাকা হিসেবে কক্সবাজারের রয়েছে অনেক সম্ভাবনা। সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়নে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে বলে মনে করেন কী?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ পর্যটন নগরী কক্সবাজার শুধু বাংলাদেশের নয়। এই পর্যটন ক্ষেত্রকে একটি বিশ্বমানের পর্যটন ক্ষেত্রে রূপান্তর করা সম্ভব। কক্সবাজার শুধু পর্যটন ব্যবসা নয়, সাগর থেকে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হলে এখানে অর্থনৈতিক প্রবাহের সৃষ্টি হবে। ফলে পুরো পৃথিবীতে কক্সবাজার অর্থনৈতিক জোন হিসেবে নেতৃত্ব দিবে। আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করতে সক্ষম হব।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ ইয়াবা প্রসঙ্গে সব সময় কক্সবাজারের নাম আসে। পরিত্রাণের উপায় কী?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ ইয়াবাসহ যেকোন অভিশপ্ত মাদক থেকে পরিত্রাণের জন্য বর্তমান প্রজন্মের যুব ও ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আওয়ামী লীগ নেত্রী হিসেবে আগামী নির্বাচনে কক্সবাজারের আসনগুলোতে কেমন প্রার্থী প্রত্যাশা করছেন?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত, মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত সাহসী, সৎ, নির্লোভ, প্রজ্ঞাময়, বিতর্কের উর্ধ্বে বর্তমান সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতি আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল প্রার্থী প্রত্যাশা করছি।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ বর্তমান সরকার কক্সবাজারে কী কী উন্নয়ন কাজ করেছে? আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কী কী কাজ হওয়া দরকার মনে করেন?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ বর্তমান সরকার কক্সবাজারে মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, রামু বিকেএসপি ষ্টেডিয়াম, রামুর ঐতিহ্যবাহী বোদ্ধ মন্দির পূন:নির্মাণ, মেরিন ড্রাইভ সড়ক, রামু ক্যান্টেনম্যান্ট, এক্সক্লুসিভ পর্যটন জোনসহ আরও উন্নয়নমূলক কাজ করেছে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনার বাবা প্রয়াত ওসমান সরওয়ার বঙ্গবন্ধুর ৭৩ সালের সরকারে সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে তাঁর নাম ইতিহাসে থাকবে। আপনি নিজেকে তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে কতটুকু যোগ্য মনে করেন?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ আমি তার উত্তরসূরী হিসেবে সাধারণ মানুষের নৈতিক অধিকার সংরক্ষণে, অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে সুদৃঢ় অবস্থানে থেকে আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়নে সততার মাধ্যমে সংগঠন গোছানোর কাজে ন্যস্ত হয়েছি। আমি আমার পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সক্ষম হব বলে আমার বিশ্বাস।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ পাঠকদের জন্য কি কোনো বার্তা রয়েছে?
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ আগামীতেও যেনো জনগণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বোট দিয়ে বিজয়ী করে এটাই চাওয়া।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
নাজনীন সরোয়ার কাবেরীঃ একুশে টেলিভিশন অনলাইনকেও ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন