ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের চলে যাওয়ার এক বছর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০২, ২৮ আগস্ট ২০২১

কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান চলে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। তিনি গত বছরের ২৮ আগস্ট মারা যান।

রাহাত খানের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৯ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামে। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন শেষে তিনি ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ঢাকায় জগন্নাথ কলেজেও কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৯ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় তার সাংবাদিক জীবন। ১৯৭২ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে সহকারী সম্পাদক হিসেবে। এখানেই তিনি সাংবাদিক হিসেবে আলোচিত হয়ে ওঠেন ‘সুহৃদ’ ছদ্মনামে ‘পথে-প্রান্তরে’ শিরোনামে নিয়মিত কলাম লেখার মাধ্যমে। রাহাত খান ২০০৯ সালে ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০১৩ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দৈনিক বর্তমান পত্রিকা।

গল্প দিয়েই তিনি সাহিত্যজীবন শুরু করেছিলেন। তার প্রথম গল্পগ্রন্থ 'অনিশ্চিত লোকালয়' ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৭৯ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার ঈদ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় রাহাত খানের প্রথম উপন্যাস ‘ব-দ্বীপের ভবিষ্যৎ’। এরপর ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রার ঈদ সংখ্যায় আরও দুটি উপন্যাস ‘অমল ধবল চাকরি’ ও ‘এক প্রিয়দর্শিনী’ প্রকাশিত হয়। তার লেখা অন্য উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী এবং কোলাহল, আকাঙ্ক্ষা, হে মাত-বঙ্গ, প্রতিপক্ষ, আকাশের ওপারে আকাশ, গন্তব্যে, ছায়াপাত এবং দিন যায় দিন আসে। এ ছাড়া তিনি ‘দিলুর গল্প’ নামে একটি শিশুতোষ গল্পগ্রন্থও লিখেছেন।

বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনে রাহাত খান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার, সুফী মোতাহার হোসেন পুরস্কার, আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি