কথাসাহিত্যিকের জমি আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৭:১৩, ৩ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৮:০৫, ৩ জুন ২০১৮
কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর গুলাশানের জমি আত্মসাত করা হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে। জাল দলিলের মাধ্যমে এ জমি আত্মসাৎ করা হয়েছে। ওয়ালীউল্লাহর ছেলে ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করেন।
মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার অভিযোগ শুনে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে বলে বাদীপক্ষের অন্যতম আইনজীবী দীপঙ্কর ঘোষ জানান।
বাদীর প্রধান আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত বলেন, ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ তার বাবার মামাতো ভাই কামাল জিয়াউল ইসলাম (কে জেড ইসলাম), তার স্ত্রী খাদিজা ইসলাম ও ছেলে রায়হান কামালের বিরুদ্ধে করা এই ফৌজদারী মামলায় ‘অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, সম্পত্তি আত্মসাৎ ও জালিয়াতির’ অভিযোগ এনেছেন।
আর্জিতে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্যারিসে চাকরিতে থাকাকালে ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর মারা যান সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। তখন গুলশানে তার ১ বিঘা ২ কাঠা জমির প্লট এবং ভবনের মালিকানা তার ফরাসি স্ত্রী আন-মারি লুই রোজিতা মার্সেল (নাসরীন ওয়ালীউল্লাহ) এবং তাদের দুই সন্তান ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ ও সিমিন ওয়ালীউল্লাহর নামে নামজারি করা হয়।
প্যারিসে অবস্থানরত ইরাজ ও তার মা-বোন ওই বাড়ি দেখাশোনার জন্য ১৯৮১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ালীউল্লাহর আপন মামাতো ভাই কামাল জিয়াউল ইসলামকে আম-মোক্তারনামা দিয়েছিলেন। সেখানে মালিকের স্বার্থ যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার কথা থাকলেও কামাল জিয়াউল ইসলাম তার স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে ওই ভবন ও জমির মালিক সেজে তা আত্মসাৎ করেছেন। তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ‘নির্মাণ বিল্ডার্স’ সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
লাল সালু , কাঁদো নদী কাঁদোর মত উপন্যাসের লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ১৯৫১ ও ৬০ এর দশকে পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন।
আরকে// এসএইচ/
আরও পড়ুন