কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু উত্তরের মানুষ
প্রকাশিত : ১০:০০, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
হাড় কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে উত্তরবঙ্গে। সেই সাথে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। জনজীবন একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। জুবু থুবু অবস্থার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে মানুষ।
কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে বেলা এগারোটা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, পৌষের শুরু থেকেই জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছে, আজ শনিবার সকাল ছয়টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জানুয়ারি মাস জুড়েই জেলার তাপমাত্রা কম থাকার পাশাপাশি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে আজকেও পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত লোকজন ভীড় করেছে।
তীব্র শীতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নআয়ের লোকজনের সাথে ছিন্নমূল ও ভাসমান লোকজন। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে মৌসুমের দ্বিতীয় দফায় টানা পঞ্চম দিনের মত শৈতপ্রবাহে হিমেল বাতাসে, কনকনে ঠান্ডায়, কুয়াশায় আচ্ছাদিত শহর গ্রাম। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের।
কেউ কেউ শীত উপেক্ষা করে কাজে রাস্তায় নেমেছেন পেটের দায়ে। শীতের তীব্রতায় মানুষে সাথে নাকাল গোবাদী পশুও। তাদের শীত নিবারনে যেন ব্যাস্ত হয়ে পরেছে চাষীরা। ক্ষতি হচ্ছে ইরি-বোরোর বীজতলার। অনেক যানবাহন রাস্তায় হেডলাইট জ্বালীয়ে চলাচল করছে ।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। আজ শনিবার সকাল ছয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন শীতার্ত মানুষ।
হাড়কাঁপানো শীত ও কুয়াশার মধ্যেই তাদের কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। শীতের কুয়াশার কবল থেকে বাঁচাতে ধানের বীজতলার শিশির ফেলার পরিচর্চায় ব্যস্ত কৃষকরা।
ঘন কুয়াশার কারণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আলুখেত ও বোরো ধানের বীজতলা রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।ধানের বীজতলা বিকেলে সেচ দিয়ে পরের দিন সকালে পানি বের করে দিতে হবে। এ ছাড়া সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে রাতের বেলা ঢেকে দিতে হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন