ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কফিনেই সন্তান জন্মদান!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৫, ৩০ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩৪, ৩ মে ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

২০১০ সালের ইতালিতে মধ্যযুগের একটি ইটের তৈরি কফিন আবিষ্কারের পরই গবেষকরা বিস্মিত হন। কফিনে ঢাকা এক তরুণীর মাথার কুলির মধ্যে একটি গর্ত দেখে তারা আশ্চর্যান্বিত হন। বিশেষ করে কোমর থেকে হাঁটুর আগ পর্যন্ত তারা বেশ কিছু ছোট ছোট হাড় খুঁজে পায়। আর ওই হাঁড়গুলো ছিল কফিনে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর। ওই শিশুটি কফিনেই জন্ম নিয়েছিল।

সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীতে ওই নারীর গর্ভ থাকাকালীন সময়ে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাথার খুলি ও হাড়ের মধ্যে এ ধরণের গর্ত খুঁড়ে অস্ত্রোপচার করার ঘটনাকে ট্রেপানেশন বলে। যদিও অস্ত্রোপচারকালে তিনি ৩৮ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন, কিন্তু তিনি সেই সন্তানকে পৃথিবীতে স্বাগত জানাতে পারেননি।

বরং কফিনে জন্ম হয়েছিল ওই শিশুটির। সেখানে প্রচুর পরিমাণ গ্যাসের প্রবাহের কারণেই সন্তানটি ভূমিষ্ট হয়েছিল। ওই নারীর বয়স ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কফিনে সন্তান জন্মদানের ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। ইউনিভার্সিটি অব ফেরারার গবেষকরা জার্নাল ওয়ার্ল্ড নিউরোসার্জারিতে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রস্তরযুগে মাথার খুলি ছিদ্র করে নিউরোসার্জারি করা হতো বলে জানিয়েছেন তারা। ইতালিতে মধ্যযুগে এ ধরণের অস্ত্রোপচার করা হতো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

তবে কি কারণে ওই নারীকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল সেই সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সন্তানকে স্বাভাবিকবাবে জন্ম দিতে বা তার নিজের জীবন বাঁচাতেই তাকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। ওই সময়টাতে মাইগ্রেনের রোগ, স্নায়ুর রোগ, মানষিক রোগের জন্য এ ধরণের শল্য কিৎসা দেওয়া হতো। শুধু তাই নয়, উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও এ ধরণের শল্য চিকিৎসা দেওয়া হতো। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, জ্বর, কাশি, রক্তচাপ রোগের জন্যও এ ধরণের শল্য চিকিৎসা দেওয়ার রীতি ছিল তখন।

সূত্র: সিএএন
এমজে/

 

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি