কবি নজরুলে পরিবহন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ২২:৪৬, ১১ মার্চ ২০১৯
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) বাস সংকট, সময় মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ৩টায় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় পরিবহন প্রশাসকের অফিস ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ময়মনসিংহ শহরগামী বাস চলাচল আটকে দেয়। মিছিল শেষে প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বাস সংকট, সময় মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া, পরিবহন দপ্তরের বিভিন্ন সেক্টরের উদাসীনতা ও অমনোযোগী আচরনসহ পরিবহন সংকটের জন্য দায়ী করে বেশকিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবহন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিবহন প্রশাসক দায়িত্বে আসার পর থেকে পরিবহন সংকটে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩তম ব্যাচ আসার পরেও বাড়তি বাস পরিবহন পুলে যুক্ত না করার কারণে শিক্ষার্থীরা ঝুলে ঝুলে ক্যাম্পাস এবং নিজ গন্তব্যে যায়। সমস্যা প্রকট হওয়ার পরেও এ নিয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পরিবহন প্রশাসন। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য তাকে ফোন করা হলে তিনি সময় মতো আমাদের ফোন রিসিভ করেন না। অধিকাংশ সময়ই তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
তারা আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করা হলে তিনি নিয়ম দেখিয়ে ডাক্তারকে ফোন দিতে বলেন, আবার ডাক্তারকে ফোন দিলে বলেন ড্রাইভারকে ফোন দিতে। এভাবে একজন অন্যজনকে শুধু ফোন দেওয়ার কথা বলেন। বাস সংকটের কারণে আমরা সকলেই ভুক্তভোগী। যার কোনো সমাধান দৃশ্যমান হচ্ছে না প্রশাসন শুধু আশ্বাসই দিচ্ছে। এই দপ্তরের সকল অনিয়ম থেকে আমরা মুক্তি চাই।
শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগের জবাবে পরিবহন প্রশাসক ড. এমদাদুর রাশেদকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,পরিবহন সংকটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা।
এই সংকট নিরসনে পরিবহন বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের কষ্টলাঘব করতে আগের চেয়ে প্রশাসন আরো তৎপর হবে এবং আরো দ্রুত সেবা প্রদান করবে বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। আগামীতে এ সংকট আর থাকবে না। আমাদের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর পুরোপুরি সুস্থতার পর ঘোষণা করা বিআরটিসি বাসসহ আরও বাস বাড়িয়ে পরিবহনের পূর্ণ সুবিধা নিশ্চিত করবো অচিরেই। পরিবহন প্রশাসন সব সময় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষেই আছে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় পরিবহন প্রশাসক চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এমদাদুর রাশেদ (রাশেদ সুখন) অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা কষ্ট করে বাসে ঝুলে ঝুলে আসা-যাওয়া করি। আমাদের জন্য না হচ্ছে আবাসন, না হচ্ছে পরিবহন। যা হচ্ছে সব প্রশাসনের নিজেদের। আমাদের টাকায় কয়েকদিন পরপর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নতুন রঙচঙা গাড়ি কেনার হিড়িক দেখলেই অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।
কেআই/
আরও পড়ুন