কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষকে দেখিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তির পথ
প্রকাশিত : ১২:২৩, ৬ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১২:২৩, ৬ আগস্ট ২০১৬
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে শুধু পূর্ণতাই দেননি, পাশাপাশি গ্রাম-বাংলার মানুষকে দেখিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তির পথ। রবীন্দ্রনাথের হাত ধরেই এদেশে চালু হয় কৃষি ব্যাংকিং। কৃষকদের সমবায় গড়ে কৃষিনির্ভর বাঙালিকে দেখিয়েছেন আলোর পথ।
বাংলা সাহিত্যকে উজাড় করে দিয়েও, প্রকৃত মানুষ হিসেবে মানুষের পাশেই দাঁড়িয়েছেন কবিগুরু। শান্তি নিকেতন প্রতিষ্ঠা করে যেমন যুগিয়েছেন বেঁচে থাকার প্রেরণা, তেমনি সমাজ পরিবর্তনে তৈরি করেছেন শ্রীনিকেতনের মতো সুদূর ভাবনার গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তিনি অনুভব করেছেন, গ্রাামের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তাই তো, পূর্ব বাংলার কৃষকদের দুঃখ দেখে তাদের সমবায় গড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। নোবেল পুরস্কারের টাকাও ব্যয় করেছেন গ্রামীণ উন্নয়নে।
জমিদারি দেখাশোনা করতে এসে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে পুরো এলাকাকে কয়েকটি ভাগ করে কবি সমবায়ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করেন। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রজাদের কর মওকুফের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে প্রায় সাড়ে ১৭শ একর বাথানী জমি গো-খামারীদের দিয়ে যান। কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নে ১৯০৫ সালে নওগাঁর পতিসরে স্থাপন করেন, কৃষি ব্যাংক।
কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, দার্শনিক, সমাজ-সংস্কারক- কোন কিছুতেই যেনো সুনির্দিষ্ট করে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, রবীন্দ্রনাথকে। তাঁর জীবন দর্শন আজো পথ দেখায় বাঙালিকে।
আরও পড়ুন