ঢাকা, সোমবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

কম বয়সে পিএইচডিধারী, অনুসন্ধান চান শিক্ষাবিদরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৭, ১৩ মার্চ ২০২৪

দেশে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা বর্তমানে ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী রয়েছেন ৭৮৩ জন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মাকসুদ কামাল বলছেন, এত অল্প বয়সে পিএইচডি অর্জন নিয়ে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী। 

কোন বিষয়ে অগাধ জ্ঞান, গবেষণায় এবং উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় পিএইচডি ডিগ্রিকে। 

দেশে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে পিএইচডি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে আগে অবশ্যই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে খুব ভালো ফল অর্জন না করতে পারলে তাকে এমফিলও করে আসতে হয়। 

এমন বাস্তবতায় পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর জাতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে পিএইচডিধারীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৭০৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী পিএইচডিধারী আছেন ৭৮৩ জন।

রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন বলেন, “পিএইচিডি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। সেখানে যেটা আমাদের চোখে লেগেছে, ১৮ থেকে ২৪ বছরের পিএইচডিধারীও এখানে আছেন। কোর্টের অর্ডারের জন্য একটি আবেদন করেছি যে, এটা কারা কিভাবে দিচ্ছে।”

একজন শিক্ষার্থীর ২৫ বছর বয়সের আগে পিএইচডি অর্জনকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন বিষয় বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। বিষয়টি নিয়ে ভালোমতো অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন আইনজীবী ও শিক্ষাবিদরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, “২০ থেকে ২৪ বছরের কোনো শিক্ষার্থী পিএইচডি সম্পন্ন করেছে আমাদের দেশে এর সংখ্যা খুবই কম। আর আছে কিনা তাও আমার জানা নেই। এটি যদি গবেষণা প্রতিবেদন হয়ে থাকে তাহলে সেটিও পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন আছে। সেই গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্তগুলো দেশে এ বিষয় কথা বলতে হবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলছেন, পিএইচডির মূল বিষয়ই হলো গবেষণা। একজন শিক্ষার্থী যখন গবেষণামুখী শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আসে তখনই সে তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে ভালো মানের কাজ করতে পারে। 

ঢাবি উপাচার্য বলেন, “এখন যে পিএইচডিগুলো হচ্ছে আমাদের দেশে সেগুলো জাতীয় জীবনে কতটুকু ভূমিকা রাখছে বা জাতীয় জীবনে ভূমিকা রাখার জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত, প্রশাসন কতটুকু প্রস্তুত। আমার দৃষ্টিতে এই পিএইচডি কাজগুলোকে দেশের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করতে পারছিনা এখনও। সেদিকেই আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে।”

পিএইচডি হলো জ্ঞান, অনুসন্ধান, সৃজন ও সম্প্রসারণের জানালা। তাই শুধু সংখ্যায় ডিগ্রিধারী বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন না এই শিক্ষাবিদ। 

ড. মাকসুদ কামাল বলেন, “কারো অনর্থক সময় ব্যয় করা উচিত নয় নামের আগে ডক্টরেট ডিগ্রিটি লাগানোর জন্য।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি