ঢাকা, বুধবার   ২০ নভেম্বর ২০২৪

কমেছে দাম পেঁয়াজের, তবে বাড়তে পারে যেকোনো মুহুর্তে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৩, ২০ নভেম্বর ২০২৪

দেশের বাজারে আসতে শুরু করেছে ভারতের নতুন পেঁয়াজ। আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে আমদানি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১৭ টাকা পর্যন্ত। আমদানির এমন ধারা অব্যাহত থাকলে সামনের দিনে দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে শীতকালে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি থাকায় আমদানীর মাত্রা কমে গেলে আবারও যেকোনো মুহুর্তে দাম বেগেড় যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও দক্ষিণ ভারতের বেলোরি; এই দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমতির দিকে। দুদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি বেলোরি জাতের পেঁয়াজ ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এখন তা কমে ৭৫ টাকা থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। সেটাও কমে ৭৫ টাকা থেকে ৭৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইন্দোর জাতের নতুন কিছু নিম্নমানের পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে আড়তগুলোতে এখন পেঁয়াজের বস্তার স্তূপ। দু’দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। দাম কমলেও ক্রেতা নেই। অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। এ অবস্থায় পচনশীল পণ্যটির ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চাকতাই-খাতুনগঞ্জের সবক’টি আড়তই পেঁয়াজে পরিপূর্ণ। গুদামের পাশাপাশি বাইরেও বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজের স্তূপ। তবে আশানুরূপ ক্রেতা না থাকায় বিক্রি কম।

এর আগে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পরপরইপেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। ১১০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ২৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকে। এতে ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যায়। অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসন। এরপর আবারও আমদানি বাড়ার কারণে গেল দুদিনে দাম কমতে থাকে। 

খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী শামীম মিয়া বলেন, পেঁয়াজে ভরে গেছে আড়ত। তবে ক্রেতা নেই। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না।

এদিকে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এখন বাজারে পেঁয়াজ বেশি থাকার কারণে দাম কমতির দিকে। তবে আমদানি কমে গেলে আবারও দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়া বা কমার ওপর আড়তদারদের কোনো হাত নেই। আমদানিকারকরা যে দাম বলেন আমরা সে দামে বিক্রি করি।

তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে একশ্রেণির আমদানিকারক বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মুহূর্তেই টেলিফোনে যারা পেঁয়াজের বাজার অস্থির করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এসএস// 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি