ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কম্বলের যত্ন নিলে বেশি দিন আরামদায়ক থাকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

শীতের সঙ্গে কম্বল জুড়ে আছে। শীতের রাতে কম্বলে ঢুকলে আর বের হতে মন চায় না। কম্বলের ওম শরীর জড়িয়ে রাখে আরামে।  তাই বছরের পর বছর কম্বলের ওম আরামদায়ক রাখতে কিছু যত্নআত্তি প্রয়োজন। কেননা এই জিনিসটি প্রতিবছর কেনা সম্ভব হয় না। আবার যত্ন নিলে যায়ও অনেক বছর। 

কম্বল ছাড়া শীতকাল ভাবা যায় না বলেই এটি সংসারের অপরিহার্য জিনিসগুলোর মধ্যে একটি। এই অপরিহার্য জিনিসটির যত্ন নিলে নিজেরই লাভ। যত্ন নেওয়া কম্বল আরামদায়ক হয়, তেমনি যায়ও বেশি দিন। এবার শীত যাপনের সঙ্গী কম্বলের যত্ন কি ভাবে নিবেন তা জেনে নিন... 

ভাল করে ঝাড়ুন
শীতের মওসুম জুড়ে মাঝে মাঝেই আলো-বাতাসে মেলে দিন কম্বল। খুব ভাল হয়, যদি শুকনো কম্বল ঝুলিয়ে রেখে ভাল করে ঝাড়তে পারেন। এতে সহজেই ধুলাবালি চলে যাবে। আবার কম্বল আরামদায়কও হয়ে ওঠবে।

কাজে লাগান পুরনো নরম ব্রাশ
হাতের কাছের পুরনো ব্রাশের ব্রিসলগুলো নরম কি না তা পরীক্ষা করুন। এবার নরম ব্রাশটি দিয়ে ধীরে ধীরে কম্বল ব্রাশ করতে থাকুন। ভাল হয় পরিষ্কার জায়গায় কম্বল বিছিয়ে ব্রাশ করতে পারলে। এর ফলে কম্বলে আটকে থাকা ধুলো ও জটা ভাব দূর হবে সহজেই। তখন একটু রোদে শুকিয়ে নিলে অনেক আরামদায়ক হবে।

কার্যকরী ক্লাব সোডা 
কম্বলে দাগ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন। পুরনো দাগ কম্বল থেকে ওঠানো খুব মুশকিল। তবে দাগ তোলার জন্য সরাসরি যে কোন সাবান ব্যবহার করবেন না। তার বদলে ঠাণ্ডা পানির সঙ্গে মাইল্ড ডিটারজেন্ট, ক্লাব সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। যে জায়গায় দাগ লেগেছে, সেই অংশটুকু এই মিশ্রণে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

সবসময় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার
অনেকের পক্ষে সব সময় ড্রাই ওয়াশে দেওয়া সম্ভব হয় না, তারা বাড়িতে বসে ঠাণ্ডা পানিতে পনেরো মিনিট ভিজিয়ে রাখুন কম্বল। তারপর উলের জন্য নিরাপদ এমন কোন ডিটারজেন্ট দিয়ে ওয়াশিং মেশিনে কম্বল পরিষ্কার করুন। গরম পানি একদমই দেবেন না। তবে দু’মিনিটের বেশি কম্বল ওয়াশিং মেশিনের ভিতরে রাখবেন না। যদিও নিতান্ত ময়লা না হলে কম্বল কাচার তেমন একটা দরকার হয় না। একান্ত দরকার হলে এই পদ্ধতিতে পরিষ্কার করুন।

তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে রাখুন
ওয়াশিং মেশিন থেকে বের করে ভিজে কম্বল শুকাতে দেওয়ার আগে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন। এতে বাড়তি পানি শুষে নেবে তোয়ালে। তাতে কম্বল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

ড্রায়ারের বদলে বাতাস 
ড্রায়ারের বদলে কম্বল শুকিয়ে নিন বাতাসে। ড্রায়ারে ক্ষতি হয় কম্বলের তন্তুর। তবে কড়া রোদে সরাসরি ভিজা কম্বল শুকাতে দেবেন না। বরং ছায়া আছে, অথচ স্যাঁতসেতে নয়, এমন জায়গায় মেলে দিন ভিজা কম্বল।

নিমের পরশ 
শীতের পরে বছরের বাকি সময় যেখানে কম্বল রাখেন, সেখানে কয়েকটা নিমপাতা ছড়িয়ে রাখুন। সিন্থেটিক কীটনাশকের থেকে বেশি কার্যকরী হবে নীম। 
সূত্র : আনন্দবাজার

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি