ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কতদিন আপনি সুরক্ষিত?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৪, ২১ জুন ২০২০ | আপডেট: ২০:১৪, ২৩ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের অ্যান্টিবডি কাজে লাগিয়ে ভাইরাসকে প্রতিহত করার চেষ্টাও করছেন বিজ্ঞানীরা। করোনা রুখতে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডি আবিষ্কারের প্রায় দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এরই মধ্যে নতুন তথ্য উঠে এলো একটি সমীক্ষায়। করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বড়জোড় দুই থেকে ছ’মাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা!

সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় একদল চীনা বিজ্ঞানীর একটি সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ পেয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় ২৭ থেকে ৬৬ বছর বয়সী ৩৭ জন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে পর্যবেক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। তারা দেখতে পান, এদের শরীরে অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনার বিরুদ্ধে বড়জোড় দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে। উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের অ্যান্টিবডি সাধারণ উপসর্গযুক্ত রোগীদের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল দেখতে পেয়েছেন ওই বিজ্ঞানীরা।

ওই ৩৭ জন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর আরও ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখেন বিজ্ঞানীরা। তাতে তারা দেখতে পান, ৮১ শতাংশ উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। সেই তুলনায় উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার ১২ মাসের মধ্যেই ৭৫ শতাংশ আক্রান্তের অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ওই প্রতিবেদনে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে আরও দশ জন করোনা আক্রান্তকে পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেন যে, প্রায় ৫০ শতাংশেরই অ্যান্টিবডির প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে ছ’মাসের মধ্যেই।

এ বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই সংস্থাটি বলেছিল, ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হবেই, এমনটা বলা যাচ্ছে না। আর করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হলেও তা কতদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে, সে বিষয়েও এতদিন নিশ্চিত ছিলেন না বিজ্ঞানীরা। 

করোনা রোগীদের নিয়ে নতুন এই সমীক্ষায় অ্যান্টিবডি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেলেন বিজ্ঞানীরা। তবে ৫০ জনেরও কম রোগীর উপর করা এই সমীক্ষার তথ্যের উপর এখনই পুরোপুরি নির্ভর করতে চাইছেন না বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি