ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনার প্রভাবে ফ্লাইং ক্লাবগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত (ভিডিও)

জসিম জুয়েল

প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ২৭ জুন ২০২১

একজন প্রশিক্ষণার্থীকে পাইলট হয়ে উঠতে দুই বছরে দুইশ’ থেকে দেড়শ’ ঘন্টা ফ্লাইং শেষ করতে হয়। করোনাকালে কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফ্লাইং ক্লাবগুলোর। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছে প্রশিক্ষণ।

উড়োজাহাজ চালনা, রোমাঞ্চকর এক পেশা। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াতে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। এই স্বপ্ন পূরণ খুব সহজও নয়। 

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স থাকায় কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে। ফ্লাইং ক্লাব থেকে প্রতিবছর বের হচ্ছে পাইলট। 

তবে করোনাকালে সংকটে পড়ে ক্লাবগুলো। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা।  

গ্যালাক্সি ফ্লাইং ক্লাবের সিইও শফিকুল আজম বলেন, একাডেমিক সিস্টেমটা অনলাইনে চলছে, আর ফ্লাইং ব্যাপারটা আমাদের হোস্টেল ব্যবস্থায় হচ্ছে। ছাত্রদেরকে সেখানে নেয়ার আগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটা মেনে নেই। করোনা টেস্ট করা হয়।

সবচে বড় ফ্লাইং ক্লাব আরিরাং কয়েকদিন আগেই তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিলো। 

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে কার্যক্রম বন্ধ করার কথা ভেবেছিলো তারা। তবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ক্লাবটি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, এরকম একটা ডিসিশানে যাচ্ছিল যে তারা আর কনটিনিউ করবে না। তবে এ ব্যাপারে তাদেরকে শোকজ করা হয়, যেহেতু সেখানে আমাদের অনেক স্টুডেন প্রশিক্ষণের ভেতরে ছিল। এ অবস্থায় তারা ডিজকনটিনিউ কিভাবে করে। পরবর্তীতে তাদের সাথে আলোচনা হয়, নতুন করে তারা আবার চালানোর উদ্যোগ নিযেছে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নজরুল ইসলাম জানান, করোনায় পাইলটদের চাহিদা কিছুটা কমেছে। 

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ জন পাইলিট রিক্রুট হতো। এগুলো মূলত এই তিনটি একাডেমি থেকে যেতো। কিন্তু করোনার আসার পরে রিক্রুটমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়, শুধু বন্ধু নয় বড় বড় এয়ারলাইন্সগুলো ছাঁটাই করেছে। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি