ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

করোনায় বন্দি সাংস্কৃতিক অঙ্গন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৮, ২১ ডিসেম্বর ২০২০

২০২০-এর প্রায় পুরোটা সময়ই করোনার ঘেরাটোপে বন্দী ছিলো সাংস্কৃতিক অঙ্গন। উন্মুক্ত স্থানে ছিলো না কোন আয়োজন, অনুষ্ঠান। মিলনায়তনগুলোতে ছিলো নিদারুণ শূণ্যতা। সিনেমা হল বন্ধ থাকায় আঘাত আসে চলচ্চিত্র শিল্পে। ঘরবন্দী হয়ে বেকার হন শিল্পীরা, টান পড়ে আয়ে। নতুন বছরে সতেজ পৃথিবীতে উচ্ছ্বল জীবনের প্রত্যাশায় সংস্কৃতিজনরা।

করোনা ভাইরাসে থমকে যায় গোটা বিশ্ব। মার্চে দেশে প্রথম সংক্রমণ। দিনে দিনে তা বাড়তে থাকে। সাধারণ ছুটিতে ভুতূড়ে অবস্থা সবখানে। মহামারির কালো ছায়া নেমে আসে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। 

শিল্পকলা একাডেমীর নাট্যমঞ্চ, জাতীয় জাদুঘর অথবা রবীন্দ্র সরোবরে সব কিছুই নিশ্চুপ। এরকম নীরব নিথর চিত্র দেশের সব মিলয়াতনের।

বাংলার চিরায়ত উৎসব বর্ষবরণে ছিলো না মানুষের কোলাহল। রমনার বটমূল বড্ড বেসুরো। থেমে যায় মঙ্গল শোভাযাত্রা।

করোনার থাবায় বন্ধ গ্যালারি। চিত্রশিল্পী, দর্শক- কোথাও কেউ নেই। সিনেমা হলের টিকেট কাউন্টার একদম একা। হল গেটে তালা।    

মার্চ থেকেই সব ধরনের শুটিং বন্ধ। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশান, কাট- চেনা শব্দগুলোও অপরিচিত হয়ে ওঠে শিল্পীদের কাছে। সবার মতো ঘর বন্দি শিল্পী কলাকূশলীরা।

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস ও সংক্ষিপ্ত করা হয়। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সব কিছু হয়েছে ভার্চুয়ালে।  

নাট্যজন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান বলেন, সাংঘাতিকভাবে এটা বিধ্বস্ত করবে আমাদের অর্থনীতিকে, সংস্কৃতি চর্চাকে, লেখালেখি, যতো ক্রিয়েটিভ কাজ- এগুলোকে নষ্ট করবে। কাজেই আমাদের এই চর্চাটা রাখতে হবে মনের জোড়ে। যদি করোনা আরও বেড়ে যায় শীতে, তারপরও জীবন চলবে। জীবনকে আমরা ভালবাসি। কাজেই মনের জোড় হারালে চলবে না। আর আমরা নিয়ম মেনে চলবো, করোনা থেকে মুক্ত হবো। সত্যিকার মুক্ত না হলেও মানসিকভাবে আমাদের মুক্ত হতেই হবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড মানেই হলো সমাগম, আর সমাগম মানেই হলো কোভিডকে আমন্ত্রণ জানানো। সেই জন্য সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়। সেকেন্ড ওয়েভ আসাতে আবার প্রকোপ বাড়ছে, সেটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে গেলে এখন আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরেই থাকতে হবে।

দৈনিক মুজুরির ভিত্তিতে যারা কাজ করতেন নাজুক অবস্থায় পড়েন তারা। অস্বচ্ছল শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ ছিলো সরকারের।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারপরও ১২ হাজার সংস্কৃতি কর্মীর প্রতি আমরা হাত প্রসারিত করেছি। সে রকম অবস্থার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাহলে আমরা আগের পথে যাবো। আবারও তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে সেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সুর-ছন্দে আসুক নতুন বছর- এই প্রত্যাশা সংস্কৃতিজনদের। 
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি