করোনায় সংকটে সিরামিক খাত (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:০৬, ১০ এপ্রিল ২০২১
ব্যক্তি ও বাণিজ্যিক উদ্যোগে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মানুষের বাসস্থান ও কর্মস্থলে। চা বা খাবার টেবিলও হচ্ছে বৈচিত্রময়। আর এতে বড় ভূমিকা রাখছে সিরামিক পণ্য। সিরামিকের বৈশ্বিক বাজারও বিশাল। এসব বিবেচনায় সিরামিক খাতে বেড়েছে বিনিয়োগ। কিন্তু করোনা মহামারি বেশ সংকটের মধ্যে ফেলেছে দেশের সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসছে বাজেটে নীতিসহায়তা চাইছেন উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশে সিরামিক শিল্পের যাত্রা শুরু পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি। বর্তমানে এ খাতে কারখানার সংখ্যা ৬৮টি। আর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। স্থানীয় বাজারে ক্রমেই বাড়ছে সিরামিক পণ্যের চাহিদা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে সিরামিক পণ্যের চাহিদা ছিল ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, সিরামিকের স্থানীয় চাহিদার বেশিরভাগই পূরণ করছে দেশীয় কারখানাগুলো। টেবিলওয়্যারের ৯৮ শতাংশ, টাইলসে ৮৪ শতাংশ এবং স্যানিটারিওয়্যারের ৯০ ভাগ চাহিদা মিটছে স্থানীয়ভাবে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সিরামিক পণ্য রপ্তানি থেকে দেশের আয় হয় ৩৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বৈশ্বিক করোনা মহামারি সংকটে ফেলেছে সম্ভাবনাময় এই খাতটিকে। ঘুরে দাঁড়াতে আসছে বাজেটে নীতিসহায়তা চান উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন, আমরা ইউরোপে এক্সপোর্ট করতাম। কিন্তু করোনার কারণে ইউরোপের বাজারে এফেক্ট পরেছে। গত বছর আমাদের স্যানিটারিওয়্যার পণ্যের উপর ম্যানুফ্যাকসারিং ডিউটি ধরা হয়েছে। এই সেক্টরটা পুরোপুরি আমদানী পণ্যের উপর নির্ভরশীল। কিছু কিছু পণ্যের উপর এখনও শুল্ক ২০ থেকে ২৫% আছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, এই শুল্ক হার যদি একটু কমিয়ে দেয়া যায়।
বৈশ্বিক সিরামিক পণ্যের বাজার ২৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। স্থানীয় চাহিদা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে এখাতে বিনিয়োগ বাড়ছে।
ইরফান উদ্দিন আরও বলেন, ফোকাসটা হলো যেহেতু দেশে আমার মার্কেট আছে, দেশের মার্কেটের বাজারটাও বড়, চাহিদাও আছে। ফ্যাক্টরি প্রোডাকশনে যাওয়ার পরে বিক্রি করতে পারছি। এই মুহূর্তে চাহিদা কম তবে ভবিষ্যতে এর চাহিদা বাড়বে।
স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় কাঁচামালে শুল্ক কমিয়ে সিরামিক পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক আরও বাড়ানোর দাবি এ খাতের ব্যবসায়ীদের।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন