কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আরেক আবরারের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১১:৩৮, ২ নভেম্বর ২০১৯
এক আবরারের শোক কাটতে না কাটতেই আরেক আবরারের অস্বাভাবিক মৃত্যু খবর আসল। কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই বাঁচানো যায়নি রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার (১৫)।
বিদুৎপৃষ্ট হওয়ার পর বিষয়টি জেনে কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় তার প্রাণহানী হয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে কিশোর আলো আয়োজিত ‘লাভেলো কি আনন্দ’ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সে গুরুতর আহত হয়। পরে আয়োজকরা তাকে উদ্ধার করে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গনেশ গোপাল বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কিশোর আলোর অনুষ্ঠানের মঞ্চের পেছনে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আবরারের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরেও অনুষ্ঠানটি চলতে থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। প্রাথমিকভাবে কলেজের পক্ষ থেকে পুলিশকে বিষয়টি না জানানোর কারণে তার মৃত্যুর খবরটি গোপন থাকে। পরে সহপাঠীদের বিক্ষোভ ও ফেসবুকে পোস্টের কারণে বিষয়টি সামনে আসে।
ফেসবুকে আবরারের মৃত্যু নিয়ে হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস দিয়েছেন কিশোর আলো’র সম্পাদক আনিসুল হক। তিনি লিখেছেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের ক্লাস নাইনের ছাত্র নাইমুল আবরার বিদ্যুতায়িত হয়। ওখানেই জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পে তাকে নেয়া হয়। দুজন এফসিপিএস ডাক্তার দেখেন। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে বলেন। হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার জীবনে এর চেয়ে মর্মান্তিক খবর আমি আর পাই নাই। আমি এখন হাসপাতালে আছি। প্রিন্সিপাল স্যার আছেন। নাইমুল আবরারের বাবা-মা এবং আত্মীয়রা আছেন। আমি ও কিশোর আলো আজীবন আবারের পরিবারের সঙ্গে থাকব। যদিও এই অপূরণীয় ক্ষতি কিছুতেই পূরণ হবে না। আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আছি। নাইমুল আবরারের জন্য দোয়া করছি।’
এমএস/
আরও পড়ুন