মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
কর্মী পুনঃস্থাপনের পুরনো প্রক্রিয়া কার্যকর হচ্ছে
প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ১ জুন ২০১৯
আগামী ১ জুলাই থেকে বিদেশি কর্মীদের পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়া চালু করার নোটিশ জারি করেছে মালয়েশিয়া সরকার। ইতোপূর্বে বাতিল করা পুরনো প্রক্রিয়া আবার কার্যকর হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, কোম্পানি থেকে কোনও কর্মী নিজ দেশে চলে গেলে তার স্থলে অন্য কর্মী নিয়োগ করতে পারবে। যারা এর আগে মালয়েশিয়ায় যে মালিকের অধীনে কর্মরত ছিল এবং সেই পুরনো মালিকই ওই কর্মীকে নিয়ে আসতে পারবে। কারণ পুরাতন কমীরা অভিজ্ঞ, আর যারা ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় দশ বছর অবস্থান, বা বয়স ৪৫ বছর হয়েছে তারা নিয়োগ পাবে না। এ পদ্ধতি সব সেক্টরের জন্য কার্যকর করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে মালয়েশিয়া সরকার ২০১৭ সালে স্থগিত করা সিস্টেমটির পূর্বস্থাপনের অনুমোদন দেয়।
সরকার বিশ্বাস করে যে এই পদ্ধতিতে মালয়েশিয়াতে বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো হবে না বরং নিয়োগকারীদের জন্য তার কোম্পানিতে কর্মীদের আগের (অনুমোদিত কোটা) সংখ্যাটি বজায় থাকবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও কোম্পানির সরকার অনুমোদিত ১০০ জন বিদেশি কর্মীর মধ্যে ২০ জন কর্মী নিজ দেশে ইতিমধ্যেই চলে গেয়ে থাকে, তাহলে ওই কোম্পানি চাইলে চলে যাওয়া ২০ জন কর্মীর স্থানে নতুন ২০ জন কর্মীর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোটার আবেদন করতে হবে না।
কিন্তু এই পদ্ধতিতে নিয়োগকর্তারা কোন দেশের শ্রমিকের বিপরীতে কোন দেশ থেকে শ্রমিকদের পুনঃস্থাপন করতে পারবেন তা স্পষ্ট বলা হয়নি। এদিকে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা অবৈধ কর্মীদের প্রতিস্থাপন করতে পারবে কি না এমন ইঙ্গিতও নেই। তবে অবৈধ কর্মী এ সুযোগ পেলে সবার জন্য ভালো হবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
এম কুলাসেগারন আরও বলেন, পণ্যের উৎপাদন নিশ্চিত করার জন্য শিল্পের মুখোমুখি হওয়া শ্রমিকদের ঘাটতির সমস্যা সমাধানে বিশেষ করে রফতানির জন্য সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল।
বিদেশি কর্মীদের প্রতিস্থাপনের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক নিয়োগকর্তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এই প্রতিস্থাপনের নামে দালালরা যেন প্রতারিত না হয় সে বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রবাসীরা।
একে//
আরও পড়ুন