ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কলারোয়ায় মাল্টা চাষে অভাবনীয় সাফল্য আক্তারুজ্জামানের

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৯, ২৯ আগস্ট ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বাতাসে টক-মিষ্টির গন্ধ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উকি দিচ্ছে মাল্টা। লুটিয়ে পড়েছে ডালপালা। এ দৃশ্য সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা গ্রামের আক্তারুজ্জামানের মাল্টা বাগানের।

সেখানে গাছে গাছে মাল্টার ছড়াছড়ি দেখে উৎসাহিত হবেন যে কেউ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ পাশের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন মাল্টা বাগনে।

বাগানের ৬ বছর বয়সী গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা ধরায় এ অঞ্চলে মাল্টা কিংবা চায়না কমলালেবুর মতো বিদেশি এই ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা।

মাটির গুণাগুণ বিবেচনায় এ কলারোয়া উপজেলায় চাষ উপযোগি ফলন হয়েছে। ৬বিঘা জমির ওপর বারী মাল্টা বিদেশি ফলের গাছ রোপণ করেন হেলাতলা ইউনিয়নের কৃষক আক্তারুজ্জামান।

উপজেলা কৃষি অফিস এর সহযোগিতায় তিনি গড়ে তোলেন এই বারী মাল্টার বাগান। ৮ জন কর্মচারি নিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা ও দেখভাল করেন ওই ফল বাগান।

কেঁচো কম্পোস্ট, ভার্মিকম্পোস্ট, গোবর, জৈবসার আর প্রাকৃতিকভাবে পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা বাগানের ওই সব গাছে এখন থোকায় থোকায় ঝুঁলছে বারি-১ জাতের মাল্টা।

ফলের ভারে পুরো বাগানের গাছগুলো যেন নুয়ে পড়েছে। কৃষক আক্তারুজ্জামান জানান, মাটিতে গোবর মিশিয়ে রোপণ করা হয় বারি-১ জাতের মাল্টা চারা। রাসয়নিক সার ওষুধ ছাড়াই জৈবসার আর প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচর্যা ও নিয়মিত পানি দেওয়ায় ফল আসে গাছগুলোতে। গাছ গাছে এখন ছবির মতো ঝুঁলে আছে পাকা-আধাপাকা মাল্টা। প্রতিটি গাছে ঝুঁলে আছে অন্তত ২/৩মণ করে মাল্টা লেবু। এবার দাম একটু কম থাকায় লাভ বেশি না হলেও ৬লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি
করতে পারবেন তিনি।

গাছে গাছে মাল্টা ঝুঁলে থাকার দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের অনেকেই অভিভুত হচ্ছেন। চারা গাছ কিংবা মাল্টার কলম সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন অনেকেই। ফরমালিন কিংবা বিষাক্ত কার্বাইডের ভয়ে মানুষ যখন বাজারের ফলমুল কেনায় মুখফিরিয়ে নিচ্ছে ঠিক তখন, আমাদের বাগনে উৎপন্ন সার-ওষুধ, হরমোন ও ফরমালিনমুক্ত ফল এবং বিভিন্ন গাছের চারা ও কলম বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়া যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুভ্রাংশু শেখর দাস বলেন, মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ফল। কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকায়ও এখন কমবেশি মাল্টা ও কমলার চাষ হচ্ছে। কলারোয়ায় মাল্টার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে অভিভূত হবেন যে
কেউ। পুষ্টির চাহিদা পূরণে অন্য পেশার পাশাপাশি শিক্ষিত লোকজনের এ ধরনের ফল চাষে এগিয়ে আসা উচিত।

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি