কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করেছেন ট্যানারি মালিকরা
প্রকাশিত : ১৪:১৪, ১৭ আগস্ট ২০১৯
নানা আলোচনা সমলোচনা পর অবশেষে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করেছেন ট্যানারি মালিকরা। তবে তাঁরা শুধুমাত্র ভালোভাবে লবণ দিয়ে সংরক্ষিত কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়াই কিনছেন বলে জানিয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে থেকে ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া কেনা শুরু বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ। তিনি বলেন, এজন্য সরকার পক্ষে থেকে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকার নির্ধারিত মূলে আগামী দুই মাস চামড়া সংগ্রহ করবে ট্যানারির মালিকরা। আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসবে। সেখানে বর্তমান চামড়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্প্রতি চামড়ার দরপতনের পর বিক্রি না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে লাখ লাখ কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া অনেক স্থান থেকেই চামড়া মাটির নিচে পুতে ফেলার তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিপুলসংখ্যক মাদ্রাসা ও এতিমখানা, যারা কোরবানির দানকৃত চামড়া সংগ্রহ করে খরচ নির্বাহ করত।
এরপর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে দেশীয় শিল্প রক্ষায় কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান ট্যানারি মালিকরা। চাপের মুখে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের তারিখ এগিয়ে এনেছে ট্যানারি মালিকরা।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে ঢালাওভাবে না দিয়ে কেস টু কেস ভিত্তিতে কাঁচা চামড়া রপ্তানিতে অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি চামড়ার বাজারে ন্যায্যমূল্য ফিরে আসে তাহলে হয়তো কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হবে না। তবে বিক্রেতারা যদি চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পায়, তাহলে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হবে।
টিআর/
আরও পড়ুন