কাকরাইল মসজিদ ঘিরে রেখেছে পুলিশ
প্রকাশিত : ১৯:২১, ১০ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:০৭, ১০ জানুয়ারি ২০১৮
তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে জড়ো হবেন এমন ঘোষণার পরই মসজিদটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে এদিন বিকেলে তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীকে কাকরাইল মসজিদের তাবলিগ জামাতের মারকাজে (অফিস) নেওয়া হয়। তার আসার পরই বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ ঘোষণা করেন। এর প্রেক্ষিতে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। নিরাপত্তার স্বার্থে বাইরে থেকে কাকরাইল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের হেয়ার রোডের মর্ডান টিপটপ মসজিদে নামাজ পড়তে অনুরোধ জানাচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এদিকে কাকরাইল মসজিদে সর্বসাধারণের প্রবেশ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন পুলিশের রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার, রমনা ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহেল কাফি ও রমনা থানার ওসি কাজী মইনুল ইসলাম।
এদিকে মাওলানা মোহাম্মদ সাদকে ইজতেমা মাঠে ঢুকতে না দিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিক্ষুব্ধ তাবলিগের অনুসারীরা। বিক্ষুব্ধ তাবলিগের একদল টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান এবং আরেকদল কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নিয়েছে।
বিতর্কিত মন্তব্যের কারণের সমালোচিত তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীর আগমণ ঠেকাতে বুধবার সকাল থেকে বিমানবন্দরের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তাবলিগ জামাতের একটি অংশ অবস্থান নেয়। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
বিক্ষোভের কারণে দুপুর ১২টা থেকেই বিমানবন্দর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশী প্রহরায় মাওলানা সাদকে কাকরাইল মসজিদে নেওয়ার খবর পেয়ে আলেম ওলামারা বিমানবন্দর মহাসড়কে অবস্থান গ্রহণ করে।
আর/টিকে
আরও পড়ুন