কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন
প্রকাশিত : ২২:৫৭, ১৫ মে ২০২৩
কেন্দ্রীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ না করার ঘোষণা থাকলেও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি ইউনিয়নে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন। এ নিয়ে দলের তৃর্ণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়েও চলছে নাটকিয়তা। উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনকে কারণ দর্শাণোর নোর্টিশ দেয়া হয়েছে বলে দাবী করলেও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলছেন কামাল হোসেন পদত্যাগ করেছেন। ঘটনাটি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারা যাওয়ায় পদটি শূন্য হয়। আগামী ২৫ মে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কামাল হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নি অফিসার মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান স্বপনের আকস্মিক মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়। ২৫ মে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট সাত জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত নূর মোহম্মদ মৃধা হাতপাখা, কামাল হোসেন (স্বতন্ত্র) আনারস, মোঃ নুরুজ্জামান (স্বতন্ত্র) মটরসাইকেল, মোঃ বাদশাহ খান টেলিফোন, মোঃ সেলিম মিয়া (ঘোড়া) এবং সোহেল (চশমা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। গত ৯ মে এই নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিকে আনারস প্রতীকের মো. কামাল হোসেন কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিলেও কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বিএনপির নেতা কর্মীরা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মো. লতিফ মৃধা বলেন, ‘ দলের সিদ্ধান্ত মতে আমাদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার কথা নয়। তবে কামাল হোসেন কিভাবে নির্বাচন করছেন আমার জানা নেই। তিনি পদত্যাগ করেছেন কিনা তাও জানা নাই। ওই ইউনিয়নের সাবেক আহবায়ক মো.মজিবুর রহমান বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোন উপায় নেই। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দল অবশ্যই তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
তবে উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি তো স্বতন্ত্র নির্বাচন করি। আমিতো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি না। ব্যক্তি হিসেবে আমি একটা নির্বাচনে অংশ নিতেই পারি। এখানে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়ার কিছু নেই।’
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী দাবী করেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে কারন দর্শনোর জন্য কামাল হোসেন কে নোটিশ দিয়েছি। নোটিশের জবাব দেয়ার জন্য তাকে সাত দিনের সময় দেয়া হয়েছে। জবাব পেলে পরবর্তীতে সাংগঠনিক ভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।’
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু মুঠো ফোনে বলেন ‘ আমি অসুস্থ ঢাকায় আছি। উপজেলায় ফিরে এ ব্যাপারে জেনে সিদ্ধান্ত নিবো।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, ‘সে অনেক আগেই পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন