ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

কাছে থেকেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা (ভিডিও)

মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৪, ১১ আগস্ট ২০২২

রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জানালা খুলে সবার সাথে কুশল বিনিময় করতেন বঙ্গবন্ধু। নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে থাকতেন ধানমণ্ডির নিজের বাড়িতে। হত্যার কয়েক ঘন্টা আগেও বঙ্গবন্ধুর সাথেই ছিল বিশ্বাসঘাতকরা।

হত্যার ষড়যন্ত্র থামাতে পারেনি বঙ্গবন্ধুকে মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই-সংগ্রাম থেকে। দেশের মানুষের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ আস্থা ও ভালোবাসা।

জাতির পিতার নিরাপত্তায় বারবার সতর্ক করা হলেও তিনি কখনোই তা পাত্তা দেননি। ভাবতেই পারতেন না তাঁর কাছের মানুষ তাকে হত্যা করতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ড. মোশারফ হোসেন ১৯৭২ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর এডিসি ছিলেন, তিনিও বারবার সতর্ক করেছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধু হেসে তা উড়িয়ে দিতেন।

বঙ্গবন্ধুর এডিসি ফ্লাইট লে.(অব) ড. মোশারফ হোসেন বলেন, “একই গাড়িতে চড়তাম, আমি ড্রাইভারের পাশের সিটে বঙ্গবন্ধু পেছনে একা বসতেন। গাড়ির কাঁচগুলো ছিল বুলেটপ্রুভ, আমরা এটা খোলা রাখতে দিতাম না। বঙ্গবন্ধু এটা খোলা রাখতে দিতাম না। আমি সামনে থেকে বন্ধ করে দিচ্ছি, পেছন থেকে বঙ্গবন্ধু খুলে দিতেন।”

রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্বে থেকেও নিরাপত্তার কথা না ভেবে ধানমণ্ডির বাসাতেই থাকতেন। এ বাসভবনের দরজা ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত।

ফ্লাইট লে.(অব) ড. মোশারফ হোসেন বলেন, “আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু বঙ্গবন্ধু কখনই গণভবনে মুভ করতে চাননি। বঙ্গবন্ধু বলতেন, এটাই আমার বাড়ি এখানেই আমি থাকব।”

বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাকসহ খুনি চক্র খুব কাছে থেকেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। 

বঙ্গবন্ধুর এডিসি বলেন, “যখন বঙ্গবন্ধুর বাবা মারা গেলেন তখন আমরা সবাই হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে টুঙ্গিপাড়া গেলাম। খন্দকার মোশতাকও গেলেন, ওখানে উনি আমাদের চেয়ে একটু বেশি সমবেদনা দেখালেন। কবরেও নেমে বললেন আমাকেও কবর দিয়ে দাও।”

বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে না পারায় ক্ষোভ ও কষ্টে এডিসি মোশারফ বিমান বাহিনীর চাকরি ছেড়ে চলে যান দেশের বাইরে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি