ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

কাজ না পেয়ে বিএমডিএ প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৪৬, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কাজ না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) এক প্রকল্প পরিচালককে (পিডি) মারধরের অভিযোগ স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। 

রোববার দুপুরে রাজশাহীতে বরেন্দ্র ভবনে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদার সামনে তাঁর কক্ষেই এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন ওরফে লস্কর বাবু। ঠিকাদার হিসেবে তিনি বছরের পর বছর একচেটিয়া কাজ করছেন। ভুক্তভোগী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক বিএমডিএর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তিনি ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে নাটোর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি ৫০টি কাজের দরপত্র আহ্বান করেন পিডি সুমন্ত কুমার বসাক। প্রতিটি কাজই ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার। কিন্তু রাজশাহীর একজন ঠিকাদারকেও কোন কাজ দেননি। কাজ দেওয়া হয়েছে নাটোর, নওগাঁ ও ঈশ্বরদীর ঠিকাদারদের।

বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদারদের ভয়ে প্রায় ১০ দিন ধরে অফিসেই আসছিলেন না সুমন্ত কুমার বসাক। অবশেষে রোববার তিনি অফিসে আসেন। এ সময় ঠিকাদাররাও বরেন্দ্র ভবনে যান। তখন সুমন্ত কুমার বসাক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদার কক্ষে ঠিকাদারদের নিয়ে বসেন। 

সেখানে ঠিকাদার সাকির হোসেন ওরফে লস্কর বাবু প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাককে রীতিমতো ধমকাতে শুরু করেন। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে পাশে বসে থাকা স্থানীয় ঠিকাদার মো. রাসেল প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাকের শার্টের কলার চেপে ধরেন। এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল শুরু হলে তাকে মারধরও করা হয়।

একপর্যায়ে ঠিকাদারদের শান্ত করে বের করে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ঠিকাদার মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে বিএমডিএ’র ঠিকাদার মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন ওরফে লস্কর বাবু বলেন, মারামারি বা লাঞ্ছিত করার মতো কোন ঘটনা না। একটু উচ্চবাচ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, পিডি রাজশাহীর ঠিকাদারদের কোন কাজ দেননি। সব কাজ দিয়েছেন বাইরের ঠিকাদারদের। ফলে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে হতাশা আছে। এর জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ঘটনাটা খুব বেশি বড় নয়। পরে এর সমাধান হয়ে গেছে বলে দাবি তাঁর।

কথা বলার জন্য পিডি সুমন্ত কুমার বসাককে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন না ধরে কেটে দিয়েছেন। 

বিএমডিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা বলেন, ‘আমি যেহেতু ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা, তাই আমার রুমেই সবাই বসেছিলেন। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হঠাৎ পিডির শার্টের কলার চেপে ধরে মারধর করা হয়। বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ বলেন, ‘অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিষয়টা আমাকে জানিয়েছেন। আমি ঢাকায় আছি। সোমবার ফিরব। তারপর চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি