(ভিডিও)
কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মজয়ন্তী আজ
প্রকাশিত : ১৪:৪৮, ২৫ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৫:১৫, ২৫ মে ২০১৯
প্রেম, দ্রোহ আর সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১শ’২০তম জন্মজয়ন্তী আজ। শোষণ-বঞ্চণার বিরুদ্ধে কবির কলম ছিলো প্রতিবাদী। আবার প্রেম-ভালোবাসা আর সমতার বাণী বার বার ফুটে উঠেছে নজরুলের গান, কবিতা, গল্প আর উপন্যাসে। তিনি গজল, হামদ-নাথ যেমন লিখেছেন তেমিন লিখে গেছেন শ্যামাসঙ্গীত। স্বধর্মে স্থিত থেকে সব ধর্মকে শ্রদ্ধা আর মানবতার জয়গান গেয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সময়েও তাই মানবমুক্তির পথ দেখান কবি নজরুল।
প্রেম, দ্রোহ, সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ধারণ করেছেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ধর্ম-বর্ণের উর্ধ্বে উঠে গেয়েছেন মানবতায় জয়গান।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম। ডাক নাম দুখু মিয়া। শৈশবেই বাধাগ্রস্ত শিক্ষাজীবন, জীবিকার টানে কাজ করেছেন মসজিদ-মক্তবে।
কৈশোরে লেটো গানের দলে পালাগানের রচয়িতা ও অভিনেতা ছিলেন। সেখান থেকেই শিল্প চর্চার শুরু। পরিচয় হয় হিন্দু পুরাণের সঙ্গে। চাষার সঙ, শকুনিবধসহ বেশকিছু লোকসঙ্গীত রচনা করেন কিশোর নজরুল।
একদিকে মসজিদ-মক্তবের জীবন উল্টোদিকে লেটো দলের বিচিত্র অভিজ্ঞতা নজরুলের সাহিত্যে এনেছে বৈচিত্র্য। ১৯১৭ যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। পরে পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতা।
ব্রিটিশ শোষনের বিরুদ্ধে সোচ্চার নজরুলের লেখনীতে ছড়িয়েছে বিদ্রোহ। জেলে বন্দী হয়েও লিখেছেন রাজবন্দীর জবানবন্দী। কবির প্রতিটি শব্দই সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কবি সবসময় সম্প্রীতির কথা বলেছেন। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের এই সময়ে নজরুলের দর্শনই মুক্তির দিশা।
কবি ছিলেন চিরবিরহী। প্রেম, ভালোবাসা আর সাম্যের বাণী সবসময়ই ধ্বণিত হয়েছে কবির কণ্ঠে। ভাতৃত্ব আর সমতা, সঙ্গীতে তুলে ধরেছেন প্রেম, প্রকৃতি আর ভালোবাসার কথকতা।
মধ্যবয়সে পিকস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেমে যায় কবির কলম। জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে কবিকে নিয়ে আসেন বাংলাদেশে।
সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কবি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তা কালোত্তীর্ণ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :
এসএ/
আরও পড়ুন