কাজের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
প্রকাশিত : ১২:৫৩, ১ জুন ২০১৯
কাজের মাধ্যমেই স্রষ্টাকে খুঁজে পেতে হবে। প্রতিটি কর্মকে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতার রসে রঞ্জিত করতে হবে- যাতে কর্মের প্রতিটি মুহূর্তকে নান্দনিক শিল্প হিসেবে স্রষ্টার কাছে উপঢৌকন স্বরূপ পেশ করা যায়। শুধু পরিশ্রম করলেই তা স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বাহন হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। কাজকে সচেতনভাবে কৃতজ্ঞতায় রূপান্তরিত করতে হবে।
এ জন্য অন্তরকে বিশুদ্ধ করতে হবে। কাজ করার যোগ্যতা যে স্রষ্টার দান তা উপলব্ধি করতে হবে ও আনন্দচিত্ত কাজ করতে হবে। যে কাজেই নিজেকে নিয়োজিত করেন না কেন তা স্রষ্টা নির্ধারিত পন্থায় ও সৃষ্টির কল্যাণে উৎসর্গীকৃত করতে হবে। কর্ম সম্পাদনের মধ্য দিয়ে অহঙ্কারী নয় বরং স্রষ্টার প্রতি সমর্পিত হতে হবে। কাজের মধ্যেও স্রষ্টাকে স্মরণ করতে হবে, যাতে প্রতিটি সম্পাদিত কাজ গুণগত মানে অতুলনীয় হয়ে ওঠে।
স্রষ্টা সবাইকে সব ধরনের কাজের যোগ্যতা দেন না। বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ধরনের কাজের দক্ষতা দিয়ে থাকেন। এসব দক্ষতা স্রষ্টার অনুগ্রহ। যাকেই আল্লাহ যে কাজের দক্ষতা দিয়েছেন তা যদি গভীর মনোযোগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে আনন্দচিত্তে করে মানবসেবায় কাজে লাগানো যায়, তবে তাই হবে স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আল্লাহর দেয়া চোখ, কান, হাত, পা, মেধা দিয়ে যে কাজই করুন না কেন তা স্রষ্টা নির্ধারিত পন্থায় ব্যবহার করতে হবে এবং এ কাজের ফলাফল মানব কল্যাণমূলক হতে হবে। কেননা সৃষ্টির অকল্যাণ করে স্রষ্টার সান্নিধ্য পাওয়া যায় না।
সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা রাত-দিন আলহামদুলিল্লাহ বলতে থাকেন কিন্তু তারা প্রবৃত্তির চাহিদা অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করেন, মেধা যোগ্যতাকে নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেন, মানুষের সমাজে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্যে রাতদিন কাজ করেন তারা সম্মানিত হলেও স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞচিত্ত নয়। আল্লাহতায়ালা প্রতিটি কাজের সঙ্গে কৃতজ্ঞ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন অধিকাংশ মানুষই রাত দিন কাজ করে কিন্তু অকৃতজ্ঞ থেকে যায়।
আসুন আমরা সবাই, যে যে পেশায় থাকি না কেন, আমাদের পেশাগত দক্ষতাকে মহাপ্রভুর দান মনে করে বিনয়ী হই। নিজের সব কাজ বিন্দুসম উপহার হিসেবে কৃতজ্ঞার সঙ্গে পেশ করি সেই মহাপ্রভুর সামনে।
(শোকরিয়া, প্রশান্তি ও প্রাচুর্যের রাজপথ গ্রন্থ)
এএইচ/