কানের কোনো রোগে অবহেলা করবেন না
প্রকাশিত : ১৮:৫১, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৯:০৯, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯
ডা. তাপস চক্রবর্তী
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কান। কানে নানা ধরনের রোগ হতে পারে। আমাদের দেশে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ কানের রোগ হলে অবহেলা করে। ডাক্তার দেখানোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। কিন্তু সামান্য অবহেলা ডেকে আনতে পারে বিপদ। এমনকী চিরতরে শ্রবন শক্তি হারানোর সম্ভাবনাও থেকে যায়।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনে কানের বিভিন্ন রোগ ও করনীয় সম্পর্কে নিয়মিত বলবেন দেশের প্রখ্যাত নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. তাপস চক্রবর্তী ( এমবিবিএস, এমসিপিএস, ডিএলও, এফসিপিএস)। আজ প্রকাশিত হচ্ছে প্রথম পর্ব।]
নাক, কান ও গলায় অনেকগুলো সমস্যা হয়ে থাকে। যেসব অসুখ নিয়ে রোগীরা আমাদের কাছে নিয়মিত আসেন সেগুলো হলো গলা ব্যাথা, গলার স্বর বসে যাওয়া, নাকের সাইনোসাইটিস জাতীয় সমস্যা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথা ব্যাথা, ঠাণ্ডার কারণে কান বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঢোক গেলার কষ্ট- এমন অসুখ আমরা বেশী পেয়ে থাকি। এছাড়া গলা ফোলার রোগীও আমরা ( ডাক্তার) পেয়ে থাকি। এতোক্ষণ যেসব উপসর্গের কথা বললাম এমন রোগী আমরা বেশী পাই শীতকালীন সময়ে বা শীতের আগে পরে। অর্থাৎ আবহাওয়ায় ঠাণ্ডা ভাব থাকলে এসব সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়া অন্যান্য রোগীও আমরা পাই যারা সাধারণত যেকোন ঋতুতেই আসতে পারে। যেমন খাওয়ার সময় গলায় মাছের কাটা আটকে যাওয়া, বাচ্চারা খেলাধূলা করতে গিয়ে খেলনার কোন অংশ- যেমন কলমের খাপ নাকে বা কানে ঢুকে যাওয়া এমন রোগী পেয়ে থাকি। গলার যেসব রোগী আমরা পাই তার মধ্য বাচ্চার সংখ্যা বেশী। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থাকে বা অ্যালার্জী জনিত সমস্যায় ভোগে তারাও ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ে আসে।
আমাদের নাক কান গলা বিভাগে যেসব রোগী আসে তাদের মধ্যে অন্যতম গলার টনসিলাইটিস। এ সমস্যায় রোগী খেতে পারে না, গলার ব্যথা বাড়তে থাকে। গায়ে জ্বর থাকে। আমাদের দেশে অনেক রোগী এমন সমস্যা অবহেলা করে থাকে। কেউ কেউ ফার্মেসিতে গিয়ে ওষুধ কিনে খায়। আমি বলব এগুলো কোন ভাবেই অবহেলা করা উচিৎ নয়। সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। বিশেষজ্ঞরা প্রথমে রোগের কারণ নির্ধারণ করেন। এরপর রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যদি ইনফেকশানজনিত কারণে হয় বা টনসিলাইটিস হয় সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট মেয়াদে এন্টিবায়োটিক চালাতে বলি।
নাক, কান, গলার সমস্যার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত কিছু নিয়ম মানতে বলি। যেমন: ঠাণ্ডা খাবার, আইসক্রীম, কোমল পানীয় না খাওয়া, কুসুম কুসুম গরম পানি পান করা, গর্গল করা সহ কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলি। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। অনেক সময় সামান্য অবহেলা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আ আ// এসএইচ/