ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪

কারাফটক থেকে ফিরে গেলেন বিএনপি নেতারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৮, ১৬ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩৩, ১৬ জুন ২০১৮

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা না করেই ফিরে গেলেন দলটির সিনিয়র নেতারা। দুপুর ১২টার দিকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আসেন। এ সময় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের কারাফটকের দিকে যেতে বাধা দেয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় অনুমতি না থাকায় তারা খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে পারবেন না।

মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ঈদের দিন হিসেবে আজ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে পরিবারের সদস্য, দলের নেতাকর্মীদের দেখা করার সুযোগ দেওয়ার কথা। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ বলছে তারা আমাদের যেতে দেবেন না। আমরা তিন দিন আগেই একটি আবেদন করেছিলাম কারা কর্তৃপক্ষ বরাবর। কিন্তু এখন পুলিশ বলছে আমাদের দেখা করতে দেবে না, আবেদনের কপিটিও তারা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবেন না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়সহ বিভিন্ন সময় আমরা জেল খেটেছি। ঈদ ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আমরা বিনা অনুমতিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, আজকে ঈদের দিনে আমাদের নেত্রীর সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা চেয়েছিলাম জেলগেটে যাবো। কারা কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা বলবো যে আমাদের আগেই অনুমতি চেয়ে আবেদন করা ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের জেলগেট পর্যন্ত যেতে দিল না। কারা কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের অনুমতি না দিত, আমরা ফিরে আসতাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের আগেই ফিরিয়ে দিচ্ছে। জেল কোড অনুযায়ী ঈদের দিন পরিবারের সদস্যসহ সবাই দেখা করতে পারে, দেখা করা না গেলেও তাদের দেয়া খাবার ভেতরে পৌঁছে দেয়া হয়। কিন্তু তা না করে আমাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরকে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি