কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশিত : ১২:৫৬, ১৬ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৪:২৫, ১৬ মে ২০১৭
কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর মিন্টোরোড, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে পড়েছে গাছপালা। লহ্মীপুর, শরিয়তপুর, নড়াইল ও গাইবান্ধায় গাছ চাপায় মারা গেছে শিশুসহ ৫ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর ও ফসলের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ আছে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ।
গেলো রাতের শিলাবৃষ্টি আর ঝড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গাছ উপড়ে যায়। ডাল ভেঙ্গে রাস্তার ওপর পরে।
সকালে এসব গাছপালা সরিয়ে নেয় সিটি কর্পোরেশন।
প্রবল ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে নড়াইলের ভওয়াখালীতে গাছ চাপা পড়ে হৃদয় ঘোষ নামে এক শিশু মারা যায়।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পাঁচটি গ্রামের তিন শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছের ডাল পড়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় মারা গেছেন রোকেয়া বেগম নামে এক নারী।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঝড়ে ঘর চাপা পড়ে মুজিবুর রহমান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লহ্মীপুরের রামগতিতে ঘর চাপা পড়ে মারা যায় আরো দুজন।
প্রচন্ড ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার কয়েক হাজার বিঘা বোরো ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। হরিপুর উপজেলার হরিপুর, আমগাঁও এবং গেদুরা ইউনিয়নে দুই দফা শিলা বৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এদিকে ময়মনসিংহে তীব্র বৃষ্টি আর ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়িসহ গাছপালা ভেঙ্গে পরেছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ভেঙে পরেছে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের সীমানা প্রাচীর।
সিরাজগঞ্জে প্রচন্ড ঝড়ে চরাঞ্চলসহ যমুনার তীরবর্তী এলাকার কাচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। রাত থেকে বেলকুচি, শাহজাদপুর, এনায়েতপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও কামারখন্দে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া, বগুড়া, নাটোর ও মুন্সিগঞ্জ-সহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন