কালো বিড়াল অশুভ শক্তির প্রতীক!
প্রকাশিত : ০১:২৯, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
অলৌকিক, অশুভ ও ভৌতিক কোনও কিছুর বিবরণ দিতে হলেই কালো বিড়ালের ব্যবহার হয়ে থাকে৷ বহুদিন ধরেই এই ব্যবহার হয়ে আসছে৷ অনেক প্রখ্যাত লেখকও তাদের বিভিন্ন ভৌতিক গল্প বা কাহিনিতে কালো বিড়ালকে বিভীষিকার প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করেছেন।
কালো বিড়াল রাস্তা পার করলে এখনও গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে৷ কিন্তু কালো বিড়ালকে কেন অশুভ প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়?
কালো বিড়ালকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণের মনে৷ বাড়ির মা-ঠাকুমারা এখনও কালো বিড়ালকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন৷ শুভ কাজে যাওয়ার সময় সামনে দিয়ে কালো বিড়াল চলে গেলে একটু দাঁড়িয়ে যেতে বলেন সকলে৷ কিন্তু কেন?
এর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে জানাচ্ছেন যুক্তিবাদীরা৷ তারা বলছেন, অতীতে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল৷ আর গুরুদের সামনে দিয়ে কালো বিড়াল গেলেই তারা অস্থির হয়ে পড়ত৷ গরুদের শান্ত করতে চালককে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামিয়ে দিতে হত।
সেই রেওয়াজই নাকি পরবর্তীকালে কুসংস্কারে পরিণত হয় এবং সেই থেকেই নাকি যেকোনও গাড়ির সামনে দিয়ে কালো বিড়াল গেলেই, গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার রীতি শুরু হয়েছে।
কেবল এই একটাই নয় কালো বিড়ালকে দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়ার আরও কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তিবাদীরা৷ তাদের বক্তব্য, কালো হোক বা সাদা, বিড়াল জাতীয় ছোট প্রাণীদের সাধারণত অন্য বড় প্রাণী বা মানুষ তাড়া করে।
এরফলে তারা এক জায়গা থেকে অন্যত্র ছোটাছুটি করে৷ তাই বিড়াল দেখার পর একটু দাঁড়িয়ে গেলে ওই প্রাণী বা মানুষের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা কমে যায়৷ কালো বিড়ালকে অশুভ বলার পিছনেও যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ কারণ রয়েছে৷
সাধারণত কালো রঙকে অশুভ প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়৷ সেই কুসংস্কার থেকেই কালো বিড়ালকেও অশুভ শক্তির প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয় বলে জানিয়েছেন যুক্তিবাদীরা৷
এমএইচ/