কি আছে তাজমহলের তালাবন্ধ ঘর গুলোতে?
প্রকাশিত : ১১:৫৬, ১৫ মে ২০২২
ভালোবাসার এক অনন্য নিদর্শন তাজমহল। বিশ্ববাসীর কাছে এটি ভালোবাসার প্রতীক। পৃথিবীর সাতটি বিস্ময়েরও একটি তাজমহল। বিষ্ময়ে ভরা সৌধটিতে স্থায়ীভাবে তালাবন্ধ রয়েছে ২০টিরও বেশি কক্ষ। যা নিয়ে কৌতহল রয়েছে অনেকের মনে।
সম্প্রতি ভারতের স্থানীয় পর্যায়ের রাজেশ সিং নামের বিজেপির এক নেতা এই কক্ষগুলোর প্রকৃত ইতিহাস জানতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, তাজমহলের ২০টিরও বেশি স্থায়ীভাবে তালাবন্ধ কক্ষগুলো খুলে দেওয়া হোক, যাতে এই সৌধের প্রকৃত ইতিহাস বেরিয়ে আসে।
রাজেশ সিং খুব পরিষ্কারভাবেই আদালতকে জানান, তিনি দেখতে চান, তাজমহলের ভেতরের তালা দেওয়া ঘরগুলোতে হিন্দু দেবতা শিবের একটি মন্দির রয়েছে বলে যে দাবি ঐতিহাসিকরা এবং ভক্তরা করেন, তা যথার্থ কিনা?
যদিও তার এই অবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
তালা দেওয়া যে কক্ষগুলোর কথা রাজেশ সিং তুলছেন সেগুলোর অধিকাংশই সৌধের ভূগর্ভস্থ অংশে অবস্থিত। এবং তাজমহলের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি জ্ঞান রাখেন এমন অনেক মানুষের মতে, ভূগর্ভস্থ ঐ ঘরগুলোর
ভেতর আদৌ কোনো রহস্য নেই।
কক্ষগুলো নিয়ে মোগল স্থাপত্যের একজন শীর্ষ বিশেষজ্ঞ এবা কোচ বলেন, ‘‘তাজমহলের নিচে ভূগর্ভস্থ ঐ কক্ষগুলো তৈরি করা হয়েছিল ‘তাহখানা’র অংশ হিসাবে। মোগলরা গরমের মাসগুলোতে শরীর শীতল রাখতে এমন ভূগর্ভস্থ কক্ষ তৈরি করতো।’’
১৯৭৮ সালে এক বন্যার আগ পর্যন্ত তাজমহলের ভূগর্ভস্থ ঐ অংশে পর্যটকরা যেতে পারতেন।
দিল্লির ইতিহাসবিদ রানা সাফাভি বলেন, ‘‘বন্যার পানি তাজমহলের ভেতর ঢুকে গিয়েছিল, পানি নামার পর মাটির নিচের ঐ ঘরগুলোর মেঝেতে পলির আস্তরণ পড়েছিল। দেয়ালে, মেঝেতে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তারপরই কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের জন্য ঘরগুলোতে ঢোকা বন্ধ করে দেয়। ওগুলোর ভেতর কিছুই নেই।’’
সূত্র: বিবিসি
এমএম/
আরও পড়ুন