কিংবদন্তী শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক মামুনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ১২:৩০, ৩ মে ২০২৩ | আপডেট: ১৭:২৫, ৩ মে ২০২৩
সীতাকুণ্ডের কিংবদন্তী শিক্ষক ও রাজনীতিক আবদুল্লাহ হিল মামুনের মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সীতাকুণ্ড থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আওয়ামী লীগ নেতা মামুন মাস্টারের মৃত্যুদিবসটি প্রতিবছরের মতো এবারও নীরবে নিভৃতে অতিবাহিত হচ্ছে।
১৯২৫ সালে সীতাকুণ্ডের ঘোড়ামরা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা রহমেতুর নূর ও বাবা মৌলভী নুরুল আনোয়ার। ১৯৪২ সালে তিনি মেট্রিক ও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে বিএ পাশ করেন।
১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে কাটিরহাট উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। অতঃপর শেকড়ের টানে ছুটে এসে তিনি ১৯৫৭ সালে মসজিদ্দা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্বগ্রহণের পর তিনি মসজিদ্দা স্কুলকে একটি দক্ষ ও উচ্চমাত্রার শৃঙ্খলাপূর্ণ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলেন।
১৯৫১ সালে এম এ আজিজের আহবানে মামুন মাস্টার আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালের অক্টোবর মাসে তিনি সীতাকুণ্ড থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। বেশ সুনামের সাথে তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একটানা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এম এ মামুন গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন। ভারতের হরিণা ক্যাম্পে তিনি রাজনৈতিক প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সীতাকুণ্ডের শিক্ষাক্ষেত্রে মামুন মাস্টারের অবদান অনেক। তিনি গড়ে তুলেছিলেন মসজিদ্দা হাইস্কুল, মসজিদ্দা বালিকা বিদ্যালয়, লতিফা সিদ্দিকী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও লতিফা সিদ্দিকী গার্লস কলেজ। সর্বোপরি তিনি ছিলেন মসজিদ্দা শিক্ষা কমপ্লেক্স এর প্রতিষ্ঠাতা।
মামুন মাস্টারের চার পুত্র ও এক কন্যাসন্তান রয়েছে। বড়ছেলে আ ম ম ফরহাদ। অন্য তিন ছেলে আ ম ম মুরাদ, আ ম ম আজাদ ও আ ম ম আমজাদ আমেরিকাপ্রবাসী। এমমাত্র মেয়ে শিরিন পারভিনও সপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
এসবি/
আরও পড়ুন