‘দি ডক্টরস্’ (ভিডিও)
কিডনি রোগে নারীরা কেনো বেশি ঝুঁকিতে?
প্রকাশিত : ১৫:২৭, ১০ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৫, ১২ মার্চ ২০১৮
পৃথিবীতে মানবজাতি যেসব প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তার মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রাণঘাতী রোগের তালিকায় কিডনি রোগের অবস্থান চতুর্থ। কিডনি রোগে সাধারণত একসঙ্গে দুটি কিডনি আক্রান্ত হয়। আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত অসংখ্য জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হচ্ছে। এসব বিক্রিয়ায় উত্পন্ন দূষিত পদার্থ রক্তে মিশে যায়। আর কিডনি তার ছাঁকনির মাধ্যমে রক্তকে ছেঁকে পরিশোধিত করে এবং দূষিত পদার্থগুলো (ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটনিন ইত্যাদি) দেহ থেকে মূত্রের সঙ্গে বের করে দেয়। এভাবে কিডনি আমাদের দেহকে বিষাক্ত ও ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়াও কিডনির অন্যান্য কাজ আছে। কিডনি রোগ এমনই মারাত্মক যা কোনো প্রকার লক্ষণ বা উপসর্গ ছাড়া খুব ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। তাই একে নীরব ঘাতক বলে অভিহিত করা হয়।
একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) ‘দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানে আজকের আলোচনার বিষয়- ‘কিডনি রোগের লক্ষণ, সনাক্ত করণ ও চিকিৎসা’। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন- প্রখ্যাত কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শামীম আহমেদ (প্রাক্তন পরিচালক, জাতীয় কিডনি ইনষ্টিটিউট এবং হাসপাতাল)।
‘দি ডক্টরস্’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন- অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। শ্রুতিলিখন করেছেন- সোহাগ আশরাফ
প্রশ্ন : ৮ মার্চ পালিত হয়েছে বিশ্ব কিডনি দিবস। এ বছরের স্লোগান ছিল কি?
উত্তর : এবারের একই দিনে বিশ্ব নারী দিবসও ছিল। তাই এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘কিডনি অ্যান্ড উইমেন হেলথ : ইনকুড, ভ্যালু, এমপাওয়ার।’ বাংলাতে ‘নারীদের কিডনি সুস্থ রাখার জন্য তাদের অংশগ্রহণ, মূল্যায়ন এবং ক্ষমতায়ন’। এ কথাগুলো সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকে আবার এটাকে বলেছে ভিন্ন ভাবে। যেমন : ‘সুস্থ কিডনি, সুস্থ নারী’, ‘নারীর শিক্ষায় শক্তি’, ‘নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক মুক্তি’।
প্রশ্ন : এবারের কিডনি দিবসে নারীকে এতো গুরুত্ব দেওয়ার কারণ কি ছিল?
উত্তর : এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা করা হয়েছে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য। ৫০ বছর পরে দেখা যাচ্ছে আমাদের প্রায় ৫০ ভাগই হবে নারী। এই নারীরা অনেক সময় অবহেলিত থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় পুরুষের তুলোনায় তাদেরই কিডনি রোগ বেশি। কারণ কিছু কিছু রোগ আছে যা নারীদের বেশি হয়। যেমন- প্রস্রাবের প্রদাহ। এটি কিন্তু নারীদের বেশি হয়ে থাকে। প্রশ্ন আসতে পারে কেনো?
কারণ, প্রস্রাবের যে জীবানু তা কিন্তু পায়ু নালি থেকে প্রস্রাবের রাস্তায় যায়। নারীদের এটা খুব কাছাকাছি বিধায় তাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়া যে নারীদের বাতের ব্যথা রয়েছে। আবার কারও কারও এসএলই নামে একটা রোগ রয়েছে। এটাও কিডনির ক্ষতি করে। আর এগুলো নারীদের বেশি হয়। এছাড়া নারীদের যখন ৪০ বছরের উপরে বয়স হয়ে যায় তখন ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিক, স্থুলতা সবই বাড়তে থাকে। এছাড়া নারীদের গর্ভকালীন সময় বা প্রসবকালীন সময় যে জটিলতা তা কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে নেই।
এখন কথা হচ্ছে নারীদের এই রোগগুলো বেশি হয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা এগুলো গোপন করে। তারা জানায় না। ফলে রোগগুলো সুপ্ত থাকে। কিন্তু যখন রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে তখন পদক্ষেপ নেই। এজন্যই এবারের কিডনি দিবসে নারীদের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন :
এসএ/