কিভাবে বুঝবেন আপনার সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত?
প্রকাশিত : ১৩:০৬, ১৩ মে ২০১৮
দিনের পর দিন থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। কিভাবে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায় তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন। এ রোগ হয় মুলত বাবা মার যেকোন একজনের হিমোগ্লোবিন তৈরির জীনে সমস্যা থাকলে তাহলে বাচ্চাদের সরাসরি থ্যালাসেমিয়া রোগ হয় না। সেক্ষেত্রে তারা থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হিসেবে সেই জীন বহন করে। কিন্তু বাবা এবং দুইজনই যদি থ্যালাসেমিয়ার জীন বহন করেন সেক্ষেত্রে তাদের প্রতি ৪টি বাচ্চার একটি বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া রোগ সরাসরি দেখা দিবে।
থ্যালাসেমিয়া বুঝা যায় যেভাবে-
জন্মের পরপর থ্যালাসেমিয়া রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না। জন্মের কয়েকমাস যাওয়ার পর রক্তশূন্যতা সর্বপ্রথম দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ফ্যাকাশে ভাব, বাচ্চার দুর্বল ভাব, বেশি কান্না করা ইত্যাদি ধরা পড়ে। যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হয় পরবর্তীতে বেড়ে ওঠা ধীর হয়ে যায় এবং শরীরে বিশেষত চেহারায় পরিবর্তন দেখা দেয়। পরবর্তীতে স্প্লিন বড় হওয়া শুরু হয় এবং চামড়ায় হলুদাভ ভাব থাকা, প্রস্রাব গাড় রঙের হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।
পরীক্ষা করতে হবে যেভাবে-
থ্যালাসেমিয়া হওয়ার পর রক্ত পরীক্ষা করলেই থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এছাড়া হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিসের মাধ্যমে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা যায়।
কিভাবে প্রতিরোধ করবেন?
বিয়ের আগে যদি হবু স্বামী স্ত্রী হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেরা আগে থেকে নিশ্চিত হয়ে নেয় যে দুইজনেই থ্যালাসেমিয়ার জীন বাহক না তাহলে বাচ্চাদেরও কেউ থ্যালাসেমিয়া রোগী হবে না।
চিকিৎসা
বর্তমানে রক্তশূন্যতা রোধে রক্ত পরিসঞ্চালন করে থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমান রক্ত পরিসঞ্চালনের পর আয়রন কমানোর জন্য চিলেটিং ওষুধ ও গ্রহণ করছে। এছাড়া স্প্লিন বড় হয়ে গেলে স্প্লিন কেটে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
এসএইচ/