কী ঘটেছে নয়াপল্টনে
প্রকাশিত : ১৮:৩৪, ১৪ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪৯, ১৪ নভেম্বর ২০১৮
সকাল থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৃতীয় দিনের আজ মতো মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় শুরু হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল কার্যালয়ের সামনে আসে। এসময় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও কয়েকটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়। তখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ফুটপাতের দিকে অবস্থান নেওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং তাদের ফুটপাতের দিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল মারতে শুরু করে। পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল। হঠাৎ বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ তখন ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়।
তখন উপস্থিত নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর একটার দিকে সংঘর্ষ শুরু হলে একপর্যায়ে পুলিশ নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে সরে গিয়ে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে, বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে স্কাউট ভবন পর্যন্ত মিছিল করেন। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান এবং একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয় নেতাকর্মীরা। এছাড়া, তারা রাস্তায় চলাচলকারী কয়েকটি গাড়ি এবং মোটরসাইকেলের গ্লাস ভাঙচুর করেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিনা উস্কানিতে পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন,‘পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল। হঠাৎ বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। প্রাথমিকভাবে আমাদের ৮-১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
টিআর/
আরও পড়ুন