কুটনৈতিকভাবে বিএনপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে
প্রকাশিত : ০৯:৩৬, ১৯ জুন ২০১৬ | আপডেট: ০৯:৩৬, ১৯ জুন ২০১৬
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বহিঃর্বিশ্বের সমর্থন আদায়ে কুটনৈতিকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বিএনপি। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করতে নতুন করে ভাবছেন নীতি নির্ধারকরা। সাবেক আমলা ও ব্যবসায়ী নেতাদের পাশাপাশি নতুনদেরও নিয়ে আসা হচ্ছে কূটনৈতিক লবিং জোরদারে।
রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। ব্যাতিক্রম নয় বিএনপিও। তবে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের পরপরই দলটির কূটনৈতিক মহলের সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মূখ্যার্জি ঢাকা সফরের সময় তার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাক্ষাত না করায়, পিছিয়ে পড়া কুটনীতি থেকে দলটি আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি বলে মনে করেন নীতি নির্দারকদের অনেকেই। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপানসহ প্রভাবশালী অনেক দেশের সাথেই কুটনৈতিকভাবে সম্পর্ক এগুতো পারেনি বিএনপি।
শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগ, রিয়াজ রহমানের উপর হামলা, সাংবাদিক শফিক রহমানের গ্রেপ্তার, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ মাথায় নিয়ে ওসমান ফারুকের গোপনে দেশত্যাগ, এসব বিষয় ভাবনায় ফেলেছে নীতিনির্ধারকদের। নতুন করে এগিয়ে যেতে চান তারা। তবে সারাবিশ্বই সরকারের কর্মকান্ডের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে বলে মনে করেন এই বিএনপি নেতা।
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিষয়টি নিয়েু কুটনৈতিকভাবে খুব বেশী এগুতো পারেনি দলটি। সম্প্রিতিক সময়ে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী ও যুক্তরাষ্ট্রের এশিয় বিষয়ক সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই এর সফরের সময়ও বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাদের সাক্ষাত হয়নি। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় কূটনৈতিক লবিংয়ে নতুন কিছু মুখ সংযুক্ত করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
তবে দাবি আদায়ের আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে বলেও মনে করেন নেতাদের অনেকেই।
আরও পড়ুন