কুবির ১৩ বছরে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষক ১৬
প্রকাশিত : ২২:০৭, ১২ এপ্রিল ২০১৯
প্রতিষ্ঠার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ১৬ জন শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যে ছয় থেকে সাতটি ব্যাচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলেও খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছে ৬টি ব্যাচ অর্থ্যাৎ স্নাতক প্রায় তিন হাজার এবং স্নাতকোত্তর দুই হাজার শিক্ষার্থী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৯টি বিভাগে শিক্ষক রয়েছেন ২২৪ জন। এদের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মাত্র ১৬ জন। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চারজন, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগে রয়েছেন দুইজন করে এবং বাংলা, লোকপ্রশাসন, ইংরেজি, ম্যানেজমেন্ট, নৃবিজ্ঞান, গণিত, আইসিটি, মার্কেটিং বিভাগে রয়েছে একজন করে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগে অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ও সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীরাও নিজ বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন না। অপরদিকে, অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, স্বজনপ্রীতির কারণে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা।
রেজিস্ট্রার সূত্র জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৯ জন শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক পেয়েছে। তারমধ্যে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে চারজন , ২০১৫ ও ২০১৬ সনে ১০ জন এবং ২০১৭ সালে পাঁচ জন স্বর্ণপদক পায়। ১৯ জন শিক্ষার্থী ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ পেলেও ছয় জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আহ্বায়ক আল আমীন অর্নব বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী তথা মেধাবী শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সুযোগ না দিলে অন্যারা কেন দেবে? কুবিতে যেন কুবির মেধাবীদের সুযোগ হয়।
বিজ্ঞান অনুষধের ডিন ডা এ কে এম রায়হান উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধাবীদের মুল্যায়ণ করে। এক্ষেত্রেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা মেধাবীরাও বঞ্চিত হবে না।
বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চেীধুরী বলেন, আমরা এখানকার শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছি। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। এখন ধীরে ধীরে আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মান বাড়ছে। ভবিষ্যতে এটা আরও বাড়বে। তখন বেশি করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
কেআই/
আরও পড়ুন