কুমিল্লার ‘খাদি’ কাপড় বাঙালির ঐতিহ্য
প্রকাশিত : ১২:৩৬, ১৬ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩৬, ১৬ জুলাই ২০১৬
কুমিল্লা খাদি/প্যাকেজ/স্মৃতি/ এডিটেড দেবাশীষ....<ংঃৎড়হম>আমার বাংলা’র জন্য
বাঙালির ঐতিহ্য কুমিল্লার ‘খাদি’ কাপড়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতবর্ষের স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাস। বৃটিশ ভারতে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের সময় কুমিল্লা অঞ্চলে বিস্তার ও জনপ্রিয়তা অর্জন পায় খাদি কাপড়। একসময় সংগ্রামী মানুষের পোশাক হিসেবে পরিচিত হলেও নান্দনিকতার ছোঁয়ায় খাদি কাপড় এখন বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। দিন দিন বাড়ছে খাদি কাপড়ের কদর।
কুমিল্লার খাদি কাপড়ের সঙ্গে জড়িত অধিকার আদায়ের ইতিহাস। সম্পর্ক আছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের। ১৯২১ সালে ব্রিটিশ পণ্য বর্জণ করে দেশী পণ্য ব্যবহারে গান্ধিজীর আহ্বানের পর বিস্তার লাভ করে খাদি পণ্যের।
ওই সময়ে কুমিল্লার চান্দিনা, দেবিদ্বার, বুড়িচং ও সদর থানায় বাস করতো প্রচুর যুগী বা দেবনাথ পরিবার। তারাই মূলত তৈরি করতেন খাদি বস্ত্র। আদি খাদি তৈরি হতো রাঙামাটির তুলা দিয়ে। গান্ধীজী প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লার অভয়আশ্রম খাদি শিল্প প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খাদির চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত তাঁত চালানোর জন্য পায়েচালিত প্যাডেলের নিচে মাটিতে গর্ত করা হতো। ওই খাদ থেকে কাপড় তৈরি হতো বলেই নাম হয় খাদি
এক সময় স্বল্প আয়ের মানুষের পোশাক হিসেবে পরিচিত হলেও সময়ের পরিক্রমায় তা পরিণত হয়েছে ফ্যাশনে। কারিগরের অভাবে হাতে বোনা খাদি কাপড় কমে গেছে, কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেশিনে তৈরি করা খাদি কাপড় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে ভোক্তাদের।
শৈল্পিক ছোঁয়ায় কুমিল্লার খাদি এখন দেশ-বিদেশ সমাদৃত। রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
আরও পড়ুন