ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে দম্পতিসহ ৪ ব্যক্তিকে গণপিটুনি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৩৮, ২১ জুলাই ২০১৯

কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে দম্পতিসহ চার ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। আহতাবস্থায় ওই চার জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ধুতিয়া দিঘীরপাড় এলাকায় ও পার্শ্ববর্তী মাঝিগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

গণপিটুনিতে আহতরা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বেজোড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রত্না বেগম (৪৫) ও আবদুস সালাম (৬৫) সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। এছাড়া আনোয়ার হোসেন (২৮) নামের এক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে।
  
আমড়াতলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, রোববার সকালে ওই তিন ব্যক্তি জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজোড়া গ্রাম থেকে আমড়াতলী স্কুলের সামনে আসেন। পাশের একটি বাড়ির সামনে গিয়ে চৈতি (১২) নামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ডাক দেয়। তাকে বাথরুমে যাইতে বলে। শিশুটি যেতে অনিহা প্রকাশ করলে ওই ৩ জন তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। 

তিনি আরও বলেন, এসময় শিশুটি ভয়ে চিৎকার করলে ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাসহ ওই তিন বয়স্ক ব্যক্তিকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির এস আই তপন কুমার বাগচী জানান, ধুতিয়া দিঘীর পাড়ে ছেলেধরা সন্দেহে মহিলাসহ তিন ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নেয়া হয়। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 
 
এদিকে এদিন দুপুর ২টায় কুমিল্লা সদর উপজেলার মাঝিগাছা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে যুবক আরিফ হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে তাঁকে পুলিশে সোর্পদ করে।  

জানা গেছে, আহত আরিফ হোসেন জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার কোনাকাটা স্বর্ণকার বাড়ি আবদুল রেনু সরকারের ছেলে। সে নিজেকে একজন ফেরীওয়ালা স্বর্ণকার বলে দাবি করে।

এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি