কুড়িগ্রামে মিলল পাতি হাঁসের কালো ডিম
প্রকাশিত : ২০:৫৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
২০২২ সালে কুড়িগ্রামে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, দেশের দক্ষিণের জেলা ভোলার চরফ্যাশন ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর দুটি স্থানে পাতি হাঁসের কালো ডিমের সন্ধান মেলে। বিষয় দুটি আন্তর্জাতিক ও দেশে গণমাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টি করে। প্রায় দুই বছর পর আবারও কুড়িগ্রামে দেখা মিলেছে হাসের কালো ডিম। এ কালো ডিম নিয়ে স্থানীয় মানুষের কৌতূলের শেষ নেই। ভিড় করে আসছেন দেখতে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সুবলপাড় পশ্চিম বিষ্ণুপুর এলাকার মাছুম মিয়া ও শিউলি দম্পত্তি বাড়িতে পালন করা পাতিহাঁস কালো ডিম দিয়েছে। এ দম্পতি বাড়িতে ৬টি দেশি জাতের পাতি হাঁস পালন করছেন। কয়েকদিন ধরে হাঁসগুলো সাদা ডিম দিলেও গত ৯ ডিসেম্বর হাঁসের খোয়ারে একটি কালো ডিম দেখতে পায় তাদের ছেলে সিয়াম। সাপের ডিম ভেবে ভেঙে ফেলে হয় সেটি। কিন্তু পরপর আরও তিনটি কালো ডিম খুপড়িতে। ধারণা করা হচ্ছে, ছয়টি হাসের মধ্যে যেকোনো একটি হাঁস চারটি কালো ডিম দিয়েছে।
পাতি হাস কালো ডিম দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আসছে এই কালো ডিম দেখতে।
স্থানীয়রা জানান, হাঁসের দেওয়া কালো ডিম এর আগে তারা দেখেননি তারা। হাস সাদা ডিম দেওয়ার পরিবর্তে কালো ডিম দিচ্ছে এরকম ঘটনা তাদের জানা নেই। এটিই দেখা তাদের জীবনের প্রথম ঘটনা।
কালো ডিম দেয়া হাঁসের মালিক মাছুম মিয়া জানান, ৯ ডিসেম্বর প্রথম কালো ডিমটি দেখতে পায় তার ছেলে সিয়াম। সেটা সাপের ডিম ভেবে ভেঙ্গে ফেলে দিয়েছে। পরে তিন দিনে আরো তিনটি কালো ডিম দিয়েছে হাঁস। এর মধ্যে প্রথম তিনটি কুচকুচে কালো হলেও শেষেরটা একটু হালকা কালো। এই কালো ডিম দেখে তারা অবাক হয়েছেন।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ কোকিল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সাধারণত হাঁসের সাদা ডিম দেওয়ার কথা। কালো ডিম দেওয়ার ঘটনা বিরল। জিনেটিক্যাল সমস্যার কারণে ডিমের রং কালো হতে পারে। এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। তবে খোলস কালো হলেও ডিমের পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে।
এদিকে শুধু মাছুম মিয়ার বাড়িতেই নয় ডিসেম্বরের শুরুতে নাগেশ্বরী সদরের জাকির হোসেন জুয়েলের বাড়িতেও দুটি কালো ডিম দেয় একটি পাতিহাঁস।
এর আগে ২০২২ অক্টোবর মাসে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমের বাড়িতে তিনটি কালো ডিম দেয় একটি হাঁস।
এসএস//
আরও পড়ুন