কৃষিই বাঁচিয়েছে অর্থনীতি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১০, ৯ মে ২০২১
আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষিতে আরও বরাদ্দ চান কৃষি অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক মহলের আশংকা ভুল প্রমাণ করে করোনাকালে কৃষিই বাঁচিয়েছে অর্থনীতিকে। তারপরও কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। এ অবস্থায় প্রণোদনার পাশাপাশি কৃষি বাজেটের পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরামর্শ কৃষি অর্থনীতিবিদদের।
জিডিপিতে কৃষির অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ। গত কয়েক দশক ধরেই এগোচ্ছে কৃষি। আর কৃষি উন্নয়নের কারণেই বাংলাদেশে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে কৃষি জমির পরিমাণ কমলেও উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। প্রতিবছরেই ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। শুধু ধান নয় অন্যান্য ফল ফসলেরও উৎপাদন বাড়ছে।
আগামী অর্থ বছরের ৬ লাখ কোটি টাকার বড় বাজেট আসছে। এ খাতে গত অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিলো মোট বাজেটের প্রায় ৫ শতাংশ। এবারও কৃষি বাজেটের সম্প্রসারণ চান কৃষি অর্থনতিবিদরা। তারা মনে করছেন, গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও বরাদ্দ প্রয়োজন।
কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সকল মানুষের জন্য সকল খাদ্য এবং পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করতে চাই। এটা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ৪ থেকে ৫ শতাংশ হারে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য কৃষিখাতে আমাদের বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
কৃষকদের জন্য প্রণোদনা, ভর্তুকি ও সহজ শর্তে কৃষি ঋণেরও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, যারা ক্ষুদ্র চাষী আছেন, তারা যাতে কৃষি ঋণ পায় এবং কৃষির বিভিন্ন খাতে কৃষি ঋণ সমভাবে বণ্টিত হয়। প্রণোদনা বাড়াতে হবে, কৃষির সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
উন্নয়নের সাথে সাথে কমছে কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা। সে কারণেই কৃষির যান্ত্রিকিকরণের বিকল্প নেই। সহজ শর্তে কৃষকদের আধুনিক যন্ত্র কেনার সুযোগ করে দেয়ার পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
কৃষি অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, সকল কৃষকের কাছে যারা ক্রয় করতে পারে, যারা সক্ষম তাদের কাছে কৃষি যন্ত্রপাতি যদি পৌঁছে দিতে হয়, এক্ষেত্রে আরও বেশি করে ভর্তুকি বাড়াতে হবে।
এই কৃষি অর্থনীতিবিদ মনে করেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হলে খরচ কমার পাশাপাশি উৎপাদন বাড়বে।
ভিডিও-
এএইচ/