কৃষিপণ্য রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা জাগাচ্ছে দেশীয় আম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা জাগাচ্ছে দেশীয় আম। প্রতিবছরই বাড়ছে রপ্তানি। বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম। রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বাড়াতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে কৃষি বিভাগ।
এখন গোটা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকাতেও চাষ হচ্ছে নানা প্রজাতির সুস্বাদু আম।
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, মাত্র এক দশক আগে দেশে আমের চাষ হতো ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে। যা এখন ২ লাখ ২০ হাজার হেক্টরে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া আমের উৎপাদন ১৫ লাখ টন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টনে।
এদিকে, উৎপাদনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রপ্তানিও। এ বছর ৪ হাজার টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই জুন পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ১শ ২৩ টন। যা গেল বছরের মোট রপ্তানির চেয়ে বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপ-এশিয়ার অন্তত ২৮টি দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম। ওইসব দেশে দ্রুত বাড়ছে বাংলাদেশি আমের চাহিদা।
এ নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, "আম রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চাষ, প্যাকেজিং, পরিবহন-সহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে কাজ চলছে।"
অঞ্চলভিত্তিক প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব হলে আম রপ্তানি অনেক বাড়ানো সম্ভব বলেও জানান তিনি।
এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের তুলনায় বিমান ভাড়া অনেক বেশি, এটি কমিয়ে আনতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
আম রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে 'রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প' গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এছাড়া রপ্তানিকারকদের সহায়তায় প্রক্রিয়াধীন আছে ম্যাংগো গ্রেডিং, ক্লিনিং, কুলিং সেড নির্মাণকাজ।
এমএম//