ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৬ মে ২০২৫

কে আসছে কানাডার ক্ষমতায়, লিবারেল নাকি কনজারভেটিভ পার্টি?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০১, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ায় অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ৯ বছর ক্ষমতায় আসীন থাকা ট্রুডো এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বও ছেড়েছেন তিনি। 

ফলে দল এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর গুরুদায়িত্ব কার কাঁধে উঠবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার একীভূত হয়ে দেশটির ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া উচিত জানিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টও করেছেন ট্রাম্প।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিস্থিতি যে খুব একটা সুখনীয় অবস্থায় নেই তা ট্রাম্পের লোভনীয় প্রস্তাব অনেকটাই স্পষ্ট। তবে মোটা দাগে এটুকু ধরা যেতে পারে, নিজের ছোট রাজ্য হলেও তা অন্যের অধীন হওয়ার চেয়ে ভালো। পরিস্থিতি উল্টোপথে চলার আগেই একমাত্র সমাধান হতে পারে নির্বাচন।

জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ দেখেছে বিশ্ব। তার এই কঠিন সময়কে তিনি নিজে পারিবারিক ঝগড়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। অর্থাৎ তা নিশ্চয়ই তিনি বা তার দল মিটিয়ে নেবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি থাকবেন না।

লিবারেলদের নেতৃত্ব দেবেন কে?
এদিকে ট্রুডোর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘিরে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। দেখা দিয়েছে কিছু জটিলতাও। সোমবার (৬ জানুয়ারি) কানাডিয়ানদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রুডো জানান, দেশের গভর্নর জেনারেল তার পার্লামেন্ট স্থগিত করার (প্ররোগেশন) অনুরোধ গ্রহণ করেছেন। এই প্ররোগেশন পার্লামেন্টকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখবে।

প্ররোগেশনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই লিবারেল ককাস নতুন নেতা নির্বাচন করার চেষ্টা করবে, যদিও সেই নেতা কীভাবে নির্বাচিত হবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সাধারণত, কানাডার ফেডারেল দলের নেতারা চার থেকে পাঁচ মাসের একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হন, যার মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক নেতৃত্ব সম্মেলন অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কয়েকজন বিশিষ্ট লিবারেল নেতার নাম শোনা যাচ্ছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, পরিবহনমন্ত্রী আনিতা আনন্দ এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নি।

এদিকে বামঘেঁষা নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) নেতা জগমীত সিং বলেন, তিনি লিবারেল পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভোট দেবেন, নেতা যেই হোক না কেন। তিনি বলেন, লিবারেলদের আর একটি সুযোগ পাওয়ারও অধিকার নেই। যদিও এনডিপি ট্রুডোকে যথেষ্ট ভোট দিয়ে তার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছিল।

কনজারভেটিভ পার্টি ও দলটির নেতা কে?
জনমত জরিপ সঠিক হলে কানাডার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভ দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবচেয়ে প্রবল সম্ভাব্য প্রার্থী। ২০২২ সালে তার দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে, পয়লিয়েভ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর জন্য এক কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি বারবার ট্রুডোকে আগাম নির্বাচনের ডাক দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন।

পয়লিয়েভ অ্যান্টি-এলিট এবং অ্যান্টি-ট্রুডো নেতা হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেছেন এবং সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। এপ্রিল মাসে, একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে ট্রুডোকে উন্মাদ এবং চরমপন্থি বলে অভিহিত করার জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করায় তাকে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

এমবি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি