কে এই ড. বিজন
প্রকাশিত : ২৩:৪৮, ১৮ মার্চ ২০২০
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ খ্যাত নতুন করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি (টেস্টিং কিট) উদ্ভাবন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এতে মাত্র ৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটেই করোনা শনাক্ত হবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
বুধবার (১৮ মার্চ) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এটা সত্যি ঘটনা। এটা ভিন্ন পদ্ধতি। এর নাম হলো- র্যাপিড ডট ব্লট।’
ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবেলা করে। তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন। আমাদের এখানে যখন যোগ দিলেন তখন তিনি ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করোনা ভাইরাস দেখা দিলো, তখন ড. বিজন আমাদের বললেন, এটা (করোনা ভাইরাস) হলো সার্সের রূপান্তরিত রূপ। এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। উনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন আমরা কেউ চিন্তা করি নাই করোনা ভাইরাস এমন হতে পারে। তিনি তখন বলেছিলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার।’
ড. বিজন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। তিনি সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যাম্পাসেই থাকেন। ড. বিজন গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন।
ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ৩৫০ টাকায় ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব। সম্প্রতি আমেরিকার একটি সংস্থা আমাদের জানিয়েছে, তারাও ড. বিজন কুমার শীলের উদ্ভাবিত এই ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ উৎপাদন করতে চায় এবং এ ব্যাপারে তারা ড. বিজনের সঙ্গে কথাও বলেছে।
এদিকে, অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ড. বিজন কুমার শীল ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার সহকারী ড. মহিবুল্লাহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে যান। অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
এনএস/