ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কেনো যাকাত দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল!

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ১৮ মে ২০১৯

দারিদ্র্য বিমোচনে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে দরিদ্র্ জনগোষ্ঠীর কাছে কার্যকরভাবে মূলধন স্থানান্তরিত হয়। এর ফলে তাদের কাছে সম্পদ হস্তান্তরিত হলে উৎপাদনমুখী পরিবারগুলো তাদের উপার্জন বৃদ্ধি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সক্ষম হবে। আর শিশু, বিধবা, অতিশয় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, প্রতিবন্ধী, অসুস্থকে সম্পদ হস্তান্তর করতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য।

দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে ব্যক্তি বা পরিবারকে মূলধনের মালিক করে দেয়া। তাদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, দক্ষতার প্রশিক্ষণ ও সমাজিক সেবা দিয়ে সহযোগিতা করা যায়।

যাকাতের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে যে কৌশলগুলো চিহ্নিত করা যায় : কেবলমাত্র সম্পদের চাহিদা নয়, মানুষের নৈতিক, মনোজাগতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নেরও ব্যবস্থা করা।

দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যক্তি ও পরিবারের সার্বিক কল্যাণে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির জন্য মূলধন হস্তান্তর করা।

ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি বা পরিবারকে সরাসরি আর্থিক সহায়তা বা সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসা। রাষ্ট্রীয় সমান সুযোগ-সুবিধার যে লভ্যতা রয়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সেখানে প্রবেশগম্যতা সহজ করা।

উৎপাদনমুখী ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য মূলধন ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করা, দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের লক্ষ্যে টেকসই কার্যক্রম গ্রহণ এবং মুসলিম জীবনে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার নীতি অনুসরণ।

যাকাত ও সদাকা মানুষের বহুমুখী সমস্যাগুলোকে সমন্বিতভাবে দূর করার উদ্যোগ নেয়। অবশ্য বাংলাদেশে প্রচলিত যে পদ্ধতিতে যাকাত বিতরণ করা হয় তার মাধ্যমে যাকাতকে দারিদ্র্য বিমোচনের কার্যকর আর্থিক ‘টুল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন যাকাতের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা।

তথ্যসূত্র : সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)

এএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি